পূজারিনি: উল্টো রথযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার পার্ক স্ট্রিট এলাকায়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
সঙ্ঘ পরিবারের রামনবমী পালনের প্রস্তুতি আগেভাগে আঁচ করতে পারেনি তৃণমূল। ফলে তার মোকাবিলার কৌশলও তাদের তৈরি ছিল না। গেরুয়া শিবির অস্ত্র নিয়ে হইহই করে রামনবমী পালন করে ফেলার পর তার পাল্টা হনুমান জয়ন্তী উদ্যাপন করেছিল তৃণমূল। কিন্তু রথের রশি যাতে বিজেপি-র হাতে না যায়, সে ব্যাপারে গোড়া থেকেই সতর্ক ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাই গত ২৫ জুন রথযাত্রার দিন রাজ্যের কোনও বিখ্যাত রথেই খুব বেশি বিজেপি নেতার মুখ দেখা যায়নি। সোমবার উল্টো রথেও রাজ্যের সবচেয়ে বিখ্যাত ইসকনের রথের রশি থাকল মমতারই হাতে।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন ইসকনের উল্টো রথ টেনেছেন, পুজো করেছেন এবং বলেছেন, ‘‘এই প্রথম উল্টো রথে এলাম।’’ মমতার পাশে ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ প্রমুখ এ দিন পুরীতে উল্টো রথের যাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের অধিকাংশ কাউন্সিলর এবং বিধায়ক নিজের নিজের এলাকায় উল্টো রথের শোভাযাত্রায় যোগ দেন। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এ দিন ভবানীপুরে নিজের বাড়ির রথ নিয়ে শোভাযাত্রায় বেরোন। জয়পুরিয়া কলেজের কাছে রথের রশি ধরেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।
পক্ষান্তরে, উল্টো রথে বিজেপি-র অংশগ্রহণ কিছুটা নিষ্প্রভ ছিল। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাগবাজারে এবং খান্নায় দু’টি শোভাযাত্রায় যোগ দেন। দলের রাজ্য সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় গড়িয়ায় একটি উল্টো রথের যাত্রায় অংশ নেন। এ ছাড়া, বিজেপি-র নেতা-কর্মীরা সকলেই স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন উল্টো রথের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এ দিন। তবে সেগুলির খুব নামডাক নেই। উল্টো রথে মমতার অংশগ্রহণ নিয়ে দিলীপবাবুর কটাক্ষ, ‘‘আমরা চিরকালই ঠাকুর-দেবতার সঙ্গে ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে এখন পরীক্ষা দিতে হচ্ছে, উনি ভগবানের সঙ্গে আছেন না অন্য কারও সঙ্গে, সেটা বোঝাতে।’’