ফাইল ছবি
জেলা স্তরে সংগঠনকে কি ফের পুরনো ছাঁচে ফেরাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস? লোকসভা কেন্দ্র ভিত্তিক সংগঠন থেকে ফের প্রশাসনিক জেলা ভিত্তিক সভাপতি বা সমন্বয়কারী পদ ফিরিয়ে আনার কথা ভাবা হতে পারে বলে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্বের একাংশ। তাঁদের মতে, গত সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুরে দলীয় সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় সেই বার্তা রয়েছে।
৫ মে দলীয় বৈঠকের পরে সাংগঠনিক দায়িত্বে রদবদলের কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। সেই রদবদল মূলত দলের শাখা সংগঠন ও জেলা স্তরের নেতৃত্বেই হওয়ার কথা। সেখানেও পুরনোদের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত ছিল। তার পর গত সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুরে দলীয় সভায় দাঁড়িয়ে প্রাক্তন জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকে গোটা জেলার সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। রাজ্য নেতৃত্বের অনেকে মনে করছেন, প্রয়োজন মতো পুরনো ব্যবস্থা মতো প্রশাসনিক জেলা ভিত্তিক সংগঠন সাজাতে পারেন তিনি। এই রদবদলে জেলায় জেলায় দলের পুরনোদেরও সামনে নিয়ে আসা হতে পারে। নির্বাচনমুখী এই প্রস্তুতিতে রাজ্য দফতরে জেলা থেকে আসা কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় করার যে ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানেও পুরনো অনেক নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, একই ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য মন্ত্রিসভায়ও রদবদলের ভাবনা রয়েছে নবান্নের। খুব বড় বদল না হলেও সে দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরুর কথাও জানিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের আগের বছরে তিন দফায় জনসংযোগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। প্রথম দফার এই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল মে মাসের গোড়ায়। তা চলার কথা ছিল ২১ জুলাই শহিদ স্মরণ কর্মসূচি পর্যন্ত। প্রথম দফার জনসংযোগ কর্মসূচিতে গ্রাম-শহরে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের। কিন্তু তার পর প্রায় ১৫ দিন কেটে গলেও তা নিয়ে সক্রিয়তা চোখে পড়েনি। নতুন পর্বে শুরু ‘দুয়ারে সরকার’ ও মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর এগিয়ে নিয়েই এই কর্মসূচিতে নামানো হতে পারে জেলা সংগঠনকে।
দলের জনসংযোগ কর্মসূচি সে ভাবে শুরু করা না গেলেও পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে সংগঠন নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। চলতি সপ্তাহেই দলের জেলা ও ব্লক স্তরের নেতৃত্বে বেশ কিছু রদবদল করা র সম্ভাবনা রয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, একাধিক জেলায় নতুন করে সভাপতি বাছাই করে দিতে পারেন মমতা। সেই সঙ্গে রাজ্য ও জেলা স্তরে শাখা সংগঠনেও কিছু বদল আনতে চান তিনি। গত সপ্তাহেই পশ্চিম মেদিনীপুরে সাংগঠনিক কর্মসূচিতে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। এ মাসের শেষে পুরুলিয়া ও বাঁকড়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। দুই জেলাতেই প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের পাশাপাশি তিনি সাংগঠনিক সভাও করতে পারেন।