বাসন্তীতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

বৃহস্পতিবার গোসাবার সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল বন্ধ করার জন্য। ‘কাজ’-এর মধ্যে দিয়ে নিজেদের সুস্থ ‘প্রতিযোগিতা’ করতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাসন্তী শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৪৬
Share:

পুলিশের-টহল: ঘটনার পরে। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত হল বাসন্তী।

Advertisement

শুক্রবার সকালে তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের সংঘর্ষে জখম হয় দুই পক্ষের প্রায় ৫ জন। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় দু’পক্ষের ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গোসাবার সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল বন্ধ করার জন্য। ‘কাজ’-এর মধ্যে দিয়ে নিজেদের সুস্থ ‘প্রতিযোগিতা’ করতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল বাসন্তীর শিমুলতলা হাসপাতাল মোড়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন একটি খবর পেয়েছি। পুলিশকে বলেছি নিরপেক্ষ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। কেউ অপরাধ করলে তাকে ছাড়া হবে না। আইন আইনের পথে চলবে।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাওয়া নিয়ে শিমুলতলা হাসপাতাল মোড়ে যুব তৃণমূলের কয়েকজন তৃণমূলের কয়েকজনকে কটূক্তি করে। এ নিয়ে বচসা বেধে যায়। শুরু হয় হাতাহাতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল নেতা মন্টু গাজির দুই ছেলে রাজা ও মিন্টু। অভিযোগ, তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় মন্টু অনুগামীরা চড়াও হয় যুব তৃণমূলের কর্মীদের উপরে। সাইফুল মোল্লা নামে এক যুবকর্মীর বাড়িতে বোমা মারা হয় বলেও অভিযোগ। জখম হন তিন যুবকর্মী। গুরুতর জখম অবস্থায় ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি রাজা ও মিন্টু।

প্রায় এক বছর ধরে চলা বাসন্তীতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লাগাতার সংঘর্ষে দুই পক্ষের দুই জন খুন হয়েছিলেন। বাড়ি-ঘর, দোকান ভাঙচুর, লুঠপাট-সহ আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বন্ধ করতে দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব বাসন্তী ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মন্টু গাজি ও ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি আমান লস্করকে পদ থেকে সরিয়ে দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তারপরেও বিক্ষিপ্ত ভাবে গণ্ডগোল চলছিল। মন্টু বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে থানায় ডাকা হয়েছিল। থানায় যাচ্ছিল ছেলে। সে সময়ে আরএসপি, সিপিএম থেকে দলে আসা যুবকর্মীরা মারধর করে তাকে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাওয়া হচ্ছিল বলেই ওঁদের রাগ, দাবি মন্টুর।

আমান বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাওয়া নিয়ে প্রথম থেকে আমাদের লোককে ওরা বাধা দিচ্ছিল। এ দিন সকালে আমাদের এক কর্মীকে মারধর করলে সকলে তার প্রতিবাদ করে। সে কারণে হাতাহাতি হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন