Kaliaganj

‘বামফ্রন্টের পুলিশ হলে মৃত্যুমিছিল হত’, কালিয়াগঞ্জে পুলিশকে মারধরে প্রতিক্রিয়া কুণালের

সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা যায়, একটি ঘরে ভয়ে কাঁপছেন পুলিশকর্মীরা। প্রাণভিক্ষা করা পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মারধর করছে জনতা। তবে ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৫১
Share:

এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে পুলিশের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করল তৃণমূল। পুলিশকে মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময় পুলিশের উপর এমন হামলা হলে অন্য দৃশ্য দেখতে হত বাংলাকে।

Advertisement

এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকা। মঙ্গলবার বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন জনজাতি সংগঠন ওই অপরাধের ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হয়। থানার সামনেও বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। তার পর দুপুরে শুরু হয় অশান্তি। কালিয়াগঞ্জে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এখানেই থামেনি অশান্তি। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, একটি ঘরের মধ্যে ঢুকে ভয়ে কাঁপছেন পুলিশকর্মীরা। তাঁদের হেলমেট ভেঙে গিয়েছে। প্রাণভিক্ষা করা ওই পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মারধর করছে উন্মত্ত জনতা। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ওই ভিডিয়োটি টুইটারে পোস্ট করেছেন কুণাল। ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখেন, ‘‘কালিয়াগঞ্জে এই গুন্ডামির পরেও পুলিশ সংযত ছিল, গুলি চালায়নি। বামফ্রন্টের পুলিশ হলে গুলিতে মৃত্যুর মিছিল হত, যেমন হয়েছিল বার বার।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘হামলাকারীদের গ্রেফতার চাই। যারা প্ররোচনা দিয়েছে, তাদেরও ধরা দরকার। ধর্ষণের মিথ্যা কথা রটানো, উত্তেজনা ছড়িয়ে এই হামলা কঠোর শাস্তিযোগ্য।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর উন্মত্ত জনতার হাত থেকে বাঁচতে স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু সেখানেও ঢুকে পড়ে ওই জনতা। তার পর চলে মারধর। হাতজোড় করেও রক্ষা পাননি পুলিশকর্মীরা। বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, জখম ওই পুলিশকর্মীদের ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্য দিকে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন