খাগড়াগড়-কাণ্ডের সঙ্গে শাসকদলের লোকজনের যোগ রয়েছে অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিল বিজেপি। সেই সব লোকজনকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছে তারা। মঙ্গলবার বর্ধমান শহরে একটি মিছিলের পরে বিজেপি-র জেলা নেতা দেবীপ্রসাদ মল্লিক ও সন্দীপ নন্দী জেলাশাসককে ওই স্মারকলিপি দেন।
দেবীপ্রসাদবাবুদের অভিযোগ, “যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, তার একতলায় তৃণমূলের যে অফিসটি ছিল, ঘটনার পরে চুনকাম করে সেটি সাধারণ ঘর বানানোর চেষ্টা হয়েছে। তাতেই স্পষ্ট, কিছু একটা গোলমাল রয়েছে। যে অফিস থেকে গোটা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত তৃণমূল, তার দোতলায় বসে কে কী করছে, তা নিশ্চয় তাদের অজানা ছিল না। তৃণমূলের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগ নিয়ে এখনও কোনও পক্ষ তদন্ত করেনি। আমরা চাই, সেই তদন্ত হোক। জড়িতদের গ্রেফতার করা হোক।” জেলার নানা অংশে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িতদের ধরার দাবিও জানান তাঁরা।
গোটা ঘটনায় তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে আগে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম-ও। সোমবার বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বরে সম্প্রীতি মঞ্চের নামে সমাবেশ করে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। সেখানে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মাদ্রাসায় পুলিশ ঢুকতে না দেওয়ার ডাক দেওয়ার পরে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদার দাবি করেছিলেন, “সব মাদ্রাসাকে এক সুতোয় বেঁধে বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা হচ্ছে। তাতে ইন্ধন দিচ্ছে তৃণমূল।” তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ঘটনার পরেই জানিয়েছেন, এর সঙ্গে তাদের দলের কোনও যোগ নেই।
বিস্ফোরণ-কাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবিতে এ দিন বর্ধমানের ঢাকেশ্বরী কলোনি থেকে নীলপুর পর্যন্ত সিপিএম একটি মিছিল করে। কংগ্রেসের তরফে আবার জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জেলা কংগ্রেস নেতা আভাস ভট্টাচার্য, কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, আজিজুল হক মণ্ডলেরা দাবি করেন, যে বা যারা উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “ভিডিও দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”