AITC

‘আমায় ধরে রাখা খুব কঠিন’, তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেন বিধায়ক, রাজনীতি থেকে অবসর চান তাপস

রবিবার ভাইরাল ভিডিয়োতে প্রাক্তন মন্ত্রী তাপসকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাকে ধরে রাখা খুব কঠিন। সময় এলেই দলকে জানিয়ে দেব যে, আর রাজনীতি করতে চাই না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:০২
Share:

বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। ফাইল চিত্র।

সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা রদবদলের সময়, তাপসকে মন্ত্রী করার জল্পনা চাউর হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী হতে পারেননি বরাহনগরের বর্ষীয়ান বিধায়ক তাপস রায়। তার পরেই তাঁর রাজনীতি ছাড়ার বিষয় নিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হল। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি যে তাঁরই, তা স্বীকার করেছেন তাপস। রবিবার এই ভিডিয়োয় প্রাক্তন মন্ত্রী তাপসকে একটি সভায় বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাকে ধরে রাখা খুব কঠিন। সময় এলেই দলকে জানিয়ে দেব যে, আর রাজনীতি করতে চাই না।’’ প্রসঙ্গত, ঘনিষ্ঠ বৃত্তে তাপস প্রায়শই রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা বলেন। তাঁর পুত্র বর্তমানে আমেরিকায় কর্মরত, মেয়েও কলকাতায় বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন।

Advertisement

তাপস ছাড়া তাঁর পরিবারের আর কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। এ হেন তাপসের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণায় স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তাঁর কথায়, ‘‘ওই সভায় ছেলেরা যখন আমার কাছ থেকে বক্তৃতা শোনার আবেদন করছিল, তখন আমি বলি, সব কিছু শেষ করার একটা সময় থাকে। সে ভাবেই আমাকেও শেষ করতে হবে। আমাকে ধরে রাখা সহজ নয়। তাই যখন সময় হবে, তখন দলকে নিজের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেব।’’ তবে তাপসের এমন মন্তব্য দলের অন্দরে অস্বস্তি তৈরি করেছে বলেই সূত্রের খবর।

তাপস কলকাতা পুরসভার দু’বারের কাউন্সিলর। বিদ্যাসাগর ও বড়বাজার কেন্দ্র থেকে বিধায়কও হয়েছিলেন। তাপসের রাজনীতিতে উত্থান ছাত্র রাজনীতি থেকে। এক সময় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের সভাপতিও হয়েছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেসের রাজনীতিতে সোমেন মিত্রর অনুগামী বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১১ সালে তাঁকে বরাহনগর থেকে প্রার্থী করেন মমতা। সেই আসন থেকে পর পর তিন বার বিধায়ক হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে মন্ত্রিসভাতেও জায়গা দিয়েছিলেন মমতা।

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁকে আর মন্ত্রিসভায় রাখেননি মমতা। বরং দলের উত্তর কলকাতা জেলা সংগঠনের সভাপতি করা হয় তাপসকে। কিন্তু মাত্র সাত মাসের মাথায় লোকসভার দলনেতা তথা উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে তাপসকে সরিয়ে ফের তাঁর হাতে সভাপতিত্ব ফিরিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। নিজের মন্তব্য প্রসঙ্গে তাপস বলেছেন, ‘‘সব কাজেই তো অবসরের বয়স রয়েছে, রাজনীতিতে কেন থাকবে না? আমি মনে করি, রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট বয়স থাকা উচিত। যদি রাজনীতিই ছেড়ে দিই, তা হলে আর বিধায়ক পদ আঁকড়ে ধরে রাখব না।’’ বর্তমানে তাপস তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহসভাপতি হওয়ার পাশাপাশি দলের অন্যতম মুখপাত্র ও বিধানসভার উপমুখ্যসচেতক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন