TMC

ডানা ছাঁটা হল জ্যোতিপ্রিয়র, উত্তর ২৪ পরগনার সাংগঠনিক দায়িত্বে পাঁচ জন

তৃণমূল সূত্রে খবর, দমদম লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বরাহনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়কে। ব্যারাকপুরের দায়িত্ব পেয়েছেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৯ ১৮:৪৭
Share:

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলে বড়সড় রদবদল হল। ক্ষমতা ছাঁটাই করা হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জেলা সভাপতি পদে তাঁকে বহাল রাখা হল ঠিকই, কিন্তু সংগঠনের দেখভালের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হল পাঁচ জনের মধ্যে। এখন থেকে পাঁচটা লোকসভা কেন্দ্রে সংগঠনের দেখাশোনা করবেন ওই ৫ জন।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে খবর, দমদম লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বরাহনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়কে। ব্যারাকপুরের দায়িত্ব পেয়েছেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা চেয়ারম্যান রথীন ঘোষকে বারাসতের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। বসিরহাটে কৃষ্ণগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং বনগাঁ লোকসভার দায়িত্বে রাখা হয়েছে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাসকে।

এ বারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল। বনগাঁ, ব্যারাকপুর লোকসভা হাতছাড়া হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়র নিজের এলাকা হাবরাতেও ভাল ফল করতে পারেনি দল। বারাসতেও অনেক জায়গায় বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিল তারা। তার মধ্যেই জেলার দুই বিধায়ক সুনীল সিংহ ও বিশ্বজিত্ দাস বিজেপিতে যোগ দেন। নৈহাটি, ভাটপাড়া, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, গারুলিয়া এবং বনগাঁ পুরসভাও তৃণমূলের হাতছাড়া হয়।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলা জুড়ে একের পর এক এই ‘ধাক্কা’য় নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। অসন্তোষ প্রকাশ করেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বও। শেষমেশ বড়সড় রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: যাকে তাকে ঝান্ডা ধরতে দেব না: মুকুলের উল্টো পথে হেঁটে ‘বেনোজলে বাঁধ’ দিচ্ছেন বাবুল

আরও পড়ুন: বেতন কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত, সুখবর পুজোর আগেই?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন