ত্রিপুরায় জমি শক্ত করতে ব্যস্ত মমতা

আগরতলার কুর্সি দখলের ভাবনাটা আগেও ছিল। তবে এ নিয়ে রোমান্স যতটা ছিল, তার তুলনায় প্রকৃত চেষ্টা ছিল কম। তা ছাড়া পরিস্থিতিও অনুকূল ছিল না। কিন্তু এ বার ত্রিপুরায় পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে যথেষ্ট শক্তি ব্যবহার করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৬ ০৪:০৬
Share:

আগরতলার কুর্সি দখলের ভাবনাটা আগেও ছিল। তবে এ নিয়ে রোমান্স যতটা ছিল, তার তুলনায় প্রকৃত চেষ্টা ছিল কম। তা ছাড়া পরিস্থিতিও অনুকূল ছিল না। কিন্তু এ বার ত্রিপুরায় পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে যথেষ্ট শক্তি ব্যবহার করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার একুশের সমাবেশ মঞ্চ থেকে দিদি ঘোষণা করেছেন, তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য ত্রিপুরা। পরের ভোটে ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার হবে। সেখানে উন্নয়ন করতে চান তিনি। সে জন্য রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করতে ৯ অগস্ট আগরতলায় সভা করবেন তিনি।

ইতিমধ্যেই এ নিয়ে পা ফেলা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় জমি দখলের জন্য মূল দায়িত্ব দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে দিয়েছেন নেত্রী। তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, মমতার প্রস্তাবিত সভার আয়োজনের জন্য স্থানীয় সংগঠনকে সক্রিয় করতে ১ অগস্ট আগরতলা যাবেন মুকুলবাবু। তবে শুধু এ বার নয়, এখন থেকে ঘন ঘন ত্রিপুরা সফরে যাবেন তিনি। আগরতলায় একটি বাড়ি ভাড়াও নিতে চলেছেন মুকুলবাবু। তার পর সুপরিকল্পিত ভাবে সেখানে রাজনৈতিক আন্দোলন ও কমর্সূচি বাড়ানো হবে। স্থানীয় মানুষের আস্থা অর্জন করতে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করার জন্য কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও শুভেন্দু অধিকারী কখনও বা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাদের সেখানে পাঠাবেন দিদি। তার পর ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে বাংলার মতোই সব আসনে মমতাকে তুলে ধরে ভোটে যাবে তৃণমূল।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এ বার ত্রিপুরায় কংগ্রেসের ঘরে ভাঙন ধরেছে। বাংলায় বাম-কংগ্রেস সমঝোতার ব্যাপারে শুরু থেকে আপত্তি জানাচ্ছিলেন ত্রিপুরার কংগ্রেস নেতারা। পরে বাংলার মানুষের বিধান স্পষ্ট হতেই ত্রিপুরা কংগ্রেসের দশ জন বিধায়কের মধ্যে ৬ জনই যোগ দেন তৃণমূলে। ফলে ত্রিপুরায় এখন তৃণমূলই প্রধান বিরোধী শক্তি।

তবে ষাট সদস্যের বিধানসভায় তৃণমূলের ক্ষমতা এখনও যে খুবই সীমিত তা জানে দল। ত্রিপুরায় দলের সংগঠনও দুর্বল। কংগ্রেস থেকে আসা সুদীপ রায়বর্মণের মতো নেতাদের রাজনৈতিক প্রভাবও সীমিত বলে মনে করেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে মমতা-ঝড়ে ভর করে ত্রিপুরাতেও পরিবর্তন আনা সম্ভব বলেই মনে করে তৃণমূল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement