ফালাকাটার সভায় রাজনাথ সিংহ। শনিবার। ছবি: নারায়ণ দে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেন, রাজনাথ সিংহের মতো ব্যক্তিকেও মোদী মর্যাদা দেন না। সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথই শনিবার পরপর দু’টি জনসভা থেকে তৃণমূলকে কার্যত তুলোধোনা করেন। রাজ্যের শাসকদলকে এক দিকে তোলাবাজ তথা সিন্ডিকেট পার্টি বলে আখ্যা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘না তৃণ রহেগা, না মূল রহেগা।’’
রাজনাথের প্রতিক্রিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য কুশলী। তিনি বলেছেন, ‘‘রাজনাথ কীইবা করবেন! ওঁর ছেলেকেও কি ফাঁসানো হয়নি? ওঁর ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। ওঁকে যা বলা হচ্ছে, তা-ই বলতে হচ্ছে। না বলে উপায় নেই।’’
রাজনাথের এ দিনের আক্রমণকে এক কথায় নজিরবিহীন বলছেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের কথায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রথম সারির নেতা রাজনাথের কাছ থেকে কড়া বার্তাই চেয়েছিলেন কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের কর্মীরা। দিনের শেষে তাঁরা খুশি।
আরও পড়ুন: বাংলায় পরিবর্তন নিশ্চিত, সভা থেকেই বড় চ্যালেঞ্জ মোদীর, নস্যাৎ মমতার
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দিন আক্রমণের অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। রাজনাথ এ দিন সরাসরিই বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই এই রাজ্যে। গণতন্ত্রের গলা চেপে ধরা হয়েছে।” তাঁর কথায়, “একটাও বন্ধ কারখানা খোলেনি রাজ্যে। উল্টে দাদাদের জন্য বোমা তৈরির কারখানা খোলা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: মোদী তো দুর্নীতির ঠাকুরদাদা: পাল্টা আক্রমণ শাণালেন মমতা
এখানেই থেমে না থেকে তিনি অভিযোগ করেন, “চিকিৎসক, শিক্ষক, প্রশাসক— কেউই এখানে সুরক্ষিত নয়। পুলিশও সুরক্ষিত নয়। তৃণমূলের লোক সেখানে গিয়ে ভয় দেখায়। বাংলাদেশ থেকে এখানে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীদেরও সহায়তা করা হচ্ছে।” ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট তুলে ধরে তাঁর দাবি, ওই রিপোর্ট অনুযায়ী পারিবারিক হিংসায় দেশে এক নম্বর পশ্চিমবঙ্গ। তার পরেই রাজনাথ বলেন, “যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন, সেখানে অন্তত মহিলাদের সম্মান ও ইজ্জত সুরক্ষিত থাকা উচিত। কিন্তু কী হচ্ছে এখানে!”