চিঠি বিলি করতে গিয়ে এ বার বাড়িতে শৌচাগার আছে কি না, তার খোঁজও নেবেন মালদহের ডাককর্মীরা। এই জেলায় যাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুতের বিল তৈরি করেন, তাঁদেরও এই কাজে লাগানো হচ্ছে। যদি তাঁরা দেখেন, বাড়িতে শৌচাগার রয়েছে, তা হলে দেওয়া হবে নতুন বছরের একটি পকেট ক্যালেন্ডার। কিন্তু শৌচাগার না থাকলে, গৃহকর্তাকে তা বানানোর অঙ্গীকারপত্রে সই করানো হবে। মালদহে দ্বিতীয় পর্যায়ে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৩৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্মল করতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী জানান, এই দু’ধরনের কর্মীরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করেন। বারবার যেতে হয় বলে এলাকার পরিবারগুলোর সঙ্গে তাঁদের পরিচয়ও ভাল। সে কারণেই এই দুই ধরনের কর্মীদের এই কাজে লাগানো হয়েছে। রবিবার জেলা পরিষদের অতিথি নিবাসে একটি কর্মশালাও করা হয়েছে। কর্মশালায় ছিলেন মালদহ জেলা ডাকবিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট দীপক পাল মজুমদার।
এ বছর ১৫ অগস্টের মধ্যে জেলার গঙ্গা তীরবর্তী ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্মল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, ওই পঞ্চায়েতগুলির ক্ষেত্রেও সচেতনতার কাজে সরকারি দফতরের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ছাত্রছাত্রীকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল। জেলাশাসক থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের প্রায় সমস্ত আধিকারিক কখনও ভোরে বা কখনও বিকেলে গ্রামে গ্রামে গিয়ে খোলা মাঠে যাতে কেউ মলত্যাগ না করেন, সে নিয়ে নজরদারি চালিয়েছেন। রেশন সহ সরকারি পরিষেবার ক্ষেত্রে শৌচাগার রয়েছে এমন পরিবারদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সুযোগও করা হয়েছিল। তাতে সুফল মিলেছে বলেই এ বার ডাককর্মী ও বিদ্যুৎ বিল যাঁরা তৈরি করেন, তাঁদেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।