গাজায় ইজরায়েলি হানার প্রতিবাদকে সামনে রেখে রাজ্যে তাঁদের দলের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে পথে নামলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। শনিবার দুপুরে দলের সদর দফতর বিধান ভবন থেকে অধীর চৌধুরী, সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টচার্যের নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা কলকাতায় মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে মিছিল বের করেন। কিন্তু ধর্মতলাতেই পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে। সেখানেই পথসভা করে প্যালেস্টাইনের গাজা ভূখন্ডে ইজরাইলি হানার এবং ইরাকে আমেরিকার বোমাবর্ষণের প্রতিবাদ জানান কংগ্রেস নেতারা।
লোকসভা ভোটে সারা দেশে কংগ্রেসের বিপর্যয় হলেও, বাংলায় রাজনৈতিক অবস্থান কিছুটা ধরে রাখতে পেরেছিলেন অধীরবাবুরা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রায় প্রতিদিনই দল ভাঙছে। এই পরিস্থিতিতে দলকে চাঙ্গা করতে আন্দোলনের কথা বললেও এখনও কোনও ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি নিতে পারেনি তারা। তাই, ৯ অগস্টের মতো ‘ঐতিহাসিক দিনে’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবু সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে দলীয় কর্মীদের বলেন, “বাংলায় কংগ্রেসকে আমরা ফিরিয়ে আনবই।” সোমেনবাবু বলেন, “কংগ্রেসের ক্ষমতা এখন সীমিত, কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদে কংগ্রেস আপস করে না।”
প্যালেস্তাইনের উপর হামলা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ‘নিশ্চুপ ভূমিকা’র সমালোচনা করেন সোমেনবাবু, প্রদীপবাবু ও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা মহম্মদ সোহরাব। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগার প্রতীক হিসাবে একটি কামান ছিল মিছিলে। সেই কামানে আগুন দিয়ে পটকাও ফাটান কংগ্রেস কর্মীরা।
প্যালেস্তাইনের উপর ইজরাইলি আক্রমণের প্রতিবাদ জানাতে ধর্মতলায় কলকাতা জেলা সিটু, এসএফআই, ডিওয়াইএফ-সহ সিপিএমের বিভিন্ন গণ সংগঠনগুলিও মিছিল করে।
প্রশ্নের মুখে
পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের দুর্দশা নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে। তিন দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে আজ রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির বর্ণনা দেন সূর্যকান্ত মিশ্র। অন্য রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন, এত দিন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার পরেও কেন কর্মীরা দল ছাড়ছে? কেন সংখ্যালঘুদের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হল। আলিমুদ্দিনের তরফে তৃণমূলের হামলার কথায় অবশ্য সকলে পশ্চিমবঙ্গ পার্টির পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন।