বন-বাংলোর স্বাদ দিতে নয়া পনেরো বাংলো 

বেশিরভাগ সময়ই তা সাধারণ পর্যটকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০৫:২০
Share:

এরকমই হবে বা‌ংলো

গরুমারা, জলদাপাড়ার, হলং থেকে চাপড়ামারি কিংবা সুকনা বা বামনপোখরির জঙ্গল ঘেরা বন দফতরের এই সুদৃশ্য কাঠের বন বাংলোগুলোর কদর বরাবরের। রাজ্যের ভিভিআইপি থেকে আমলা বা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে বাংলোগুলো বরাবর অত্যন্ত আকর্ষণীয়। কিন্তু, বেশিরভাগ সময়ই তা সাধারণ পর্যটকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।

Advertisement

কখনও ভিআইপির থাকার জন্য কখনও বা দফতরের উচ্চপদস্থ অফিসারদের বুকিংয়ের জন্য। কোনও-কোনও বাংলো বাণিজ্যিকভাবে আবার বুকিং দেওয়ার বিষয়ও থাকে না। কোনও অফিসারের অনুমোদন মিললেও থাকার জন্য পর্যটকদের মোটা টাকা ভাড়া গুনতে হয়। এ বার ওই ধরনের বন-বাংলোর ধাঁচে তৈরি কটেজের স্বাদ মিলবে গজলডোবার ‘ভোরের আলো’য়।

পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ করে ১৫টি পুরোপুরি কাঠের বনবাংলো তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি টেন্ডার করা হয়েছে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে শাল, সেগুন কাঠের তৈরি বাংলোগুলো পর্যটকদের জন্য তৈরি হয়ে যাবে। বৃটিশ আমল থেকে এই ধরনের বাংলো তৈরি থেকে রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে বনদফতরের পারদর্শিতাথাকায় তাঁদেরকেই পর্যটন দফতরের তরফে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

‘সুইস চ্যালে’ বা কাঠের বাংলোগুলোর মধ্যে একটি থাকবে প্রেসিডেন্সিয়াল বাংলো, ৬টি ডুপ্লেক্স বাংলো এবং ৮টি একচালার কাঠের বাংলো। এছড়াও ডরমেটরি, রেস্তরাঁ, প্যান্ট্রি ছাড়াও বাইরের মনোরম দৃশ্য দেখিয়ে সময় কাটানোর জন্য তৈরি হবে ‘ভিউ ডেক’। এই বাংলোগুলো ছাড়াও ভোরের আলোরসামনের অংশে একটি আধুনিক ইকো পার্কও তৈরি করছে বন দফতর।

রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে ভোরের আলোকে ধাপেধাপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আমরা পরিকল্পনা তৈরি করে এগোচ্ছি।’’

বর্তমানে ভোরের আলোতে ৪টি কটেজ এবং ২টি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কটেজ রয়েছে। পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ব্যবস্থাপনায় সেখানে থাকা পর্যটকদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এর বাইরে একটি বড় ভিআইপি বাংলো রয়েছে।

দফতর সূত্রের খবর, প্রকল্প এলাকার মধ্যে সাড়ে ৭ একর এলাকায় পর্যটন দফতর কাজ করছে। নতুন কাঠের বাংলোগুলি প্রায় ১ একর কিছুটা বেশি এলাকা জুড়ে থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন