বন্ধ টয় ট্রেন, বেহাল নিউ দিঘায় হতাশ পর্যটকেরা 

হুগলির বিনোদন পার্কের মধ্যে নিউ দিঘার নাম রয়েছে। ২০০১ সালে জেলা পরিষদ কাঠকুন্তী নদীর পাড়ে ওই পার্ক তৈরি করে। তার মধ্যে আবার বাচ্চাদের জন্য আলাদা পার্ক তৈরি করে বসানো হয় টয় ট্রেন।

Advertisement

দীপঙ্কর দে

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share:

বেহাল: ভেঙে পড়ে রয়েছে টয় ট্রেন। নিজস্ব চিত্র

বেশ কয়েক মাস ধরে টয় ট্রেন বন্ধ। জলাশয় শুকিয়ে কাঠ। ফলে, নৌ-বিহারও বন্ধ। শীতের মরসুমে সিঙ্গুরের নিউ দিঘা পার্কে এসে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে পর্যটকদের।

Advertisement

হুগলির বিনোদন পার্কের মধ্যে নিউ দিঘার নাম রয়েছে। ২০০১ সালে জেলা পরিষদ কাঠকুন্তী নদীর পাড়ে ওই পার্ক তৈরি করে। তার মধ্যে আবার বাচ্চাদের জন্য আলাদা পার্ক তৈরি করে বসানো হয় টয় ট্রেন। জলাশয়ে নৌ-বিহারের ব্যবস্থা করা হয়। লাগানো হয় ফোয়ারা ফুলের বাগান তৈরি করা হয়। বনভোজনের জন্য বিশেষ কটেজও হয়। পর্যটকেরা যাতে এখানে চড়ুইভাতিতে এসে রান্না করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করা হয়। মূলত শীতের মরসুমেই মানুষের ভিড়ে গত বছর পর্যন্ত জমজমাট থাকতে দেখা গিয়েছে ওই এলাকা। কিন্তু এ বার সেই ছবি বদলে গিয়েছে।

পার্কের হাল যে খারাপ, সেটা অবশ্য মানতে চাননি জেলা পরিষদের পর্যটন বিভাগের কর্মাধ‍্যক্ষ‍ মানিক দাস। তিনি বলেন, ‘‘টয় ট্রেন ও বোটিং বন্ধ এটা বাস্তব। টয় ট্রেন সারানোর কাজ চলছে। চেষ্টা করা হচ্ছে ফের যাতে বোটিং চালু করা যায়।’’

Advertisement

গত ২৫ ডিসেম্বর পার্কে তেমন ভিড় জমেনি। যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের অনেকেই রীতিমতো বিরক্ত। যাঁরা নৌ-বিহারের পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁরা এসে দেখেন জলাশয়ে খননকাজ চলছে। পার্কে বসার সিট ভেঙে গিয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, ‘‘জলাশয়ের খনন কাজ এখন কেন? শীতের মরসুমের আগেই তো এই কাজ করা উচিত ছিল।’’ বড়দিনে এখানে চড়ুইভাতি করতে আসা চন্দননগরের তাপসী রায় বলেন, ‘‘ আগে জিরাফের ঘাড়টা দুলত। বাচ্চারা মজা পেত। টয় ট্রেন বন্ধ। বোটিং বন্ধ। শুধু বাগানে তো আর ঘুরতে আসিনি!’’ এক যুবকের টিপ্পনী, ‘‘বসার ভাঙা সিট না-সারিয়ে গাছে নীল-সাদা রং করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন