তারকেশ্বরে পুজো দিয়ে লোকাল ট্রেনে ফিরছিলেন পাঁচ যুবক। সেলফি বা নিজস্বীর টানে বেঘোরে প্রাণ হারালেন চার জন। এক জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। পূর্ব রেলের খবর, এঁরা সকলেই দমদম পার্কের বাসিন্দা। মৃতদের নাম কাজলচন্দ্র সাহা, সঞ্জীব পোল্লে, সুমিত কুমীর ও চন্দন পোল্লে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার লিলুয়ায় নেমে বাড়ি ফেরার জন্য লোকাল ট্রেনে উঠেছিলেন ওই পাঁচ যুবক। দাঁড়িয়ে ছিলেন ট্রেনের দরজায়। তারক ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজস্বী তুলতে। হাত ফস্কে তাঁর মোবাইল পড়ে যায়। সেটি তুলতে গিয়ে রেললাইনের পাশের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যান তিনি। ট্রেনে রব ওঠে, ‘‘পড়ে গেল! পড়ে গেল! ট্রেন থামাও।’’ কিন্তু তত ক্ষণে ট্রেন অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। গার্ড লিলুয়া স্টেশনে ফোন করে সব জানান। ঘটনাস্থল থেকে বেলুড় স্টেশন প্রায় এক কিলোমিটার দূরে।
আরও পড়ুন:সেলফি নিয়ন্ত্রণে বিধির ভাবনা
ট্রেন বেলুড়ে পৌঁছনোর পরে বন্ধুর খোঁজে তিন এবং চার নম্বর লাইনের মাঝবরাবর লিলুয়ার দিকে হাঁটতে শুরু করেন চার সঙ্গী। ওই দু’টি লাইন ধরেই আসছিল লোকাল ট্রেন। দুই লাইনের মাঝখানে পড়ে থতমত খেয়ে যান কাজল, সুমিত ও চন্দন। তার পরেই একসঙ্গে ছুটতে শুরু করেন তিন নম্বর লাইন ধরে। বর্ধমান লোকাল তিন জনকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তিন বন্ধুই ছিটকে পড়েন লাইনের ধারে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। ট্রেন আসতে দেখে পালিয়ে বাঁচতে চাইছিলেন সঞ্জীব। চার নম্বর লাইনের ট্রেনের ধাক্কায় পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে তাঁরও মৃত্যু হয়। তত ক্ষণে তারককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।