কাটিহার থেকে ডিব্রুগড়ের দিকে যাচ্ছিল চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। এনজেপির একটু আগে ফাঁসিদেওয়ার চটেরহাট ও নিজবাড়ি স্টেশনের মাঝে ট্রেনের এক সহকারী চালক টের পান দু’টি ইঞ্জিনের একটিতে আগুন লেগেছে। আগুনের উৎসের কাছে পৌঁছনোর আগেই দ্বিতীয় ইঞ্জিন লাগোয়া লাগেজ ভ্যানে আগুন ছড়িয়ে যায়। প্রাণ বাঁচাতে সেই কামরা থেকে বাইরে ঝাঁপ দেন দুই যাত্রী। পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার করা হলেও পরিচয় জানা যায়নি। শুক্রবার সকালে ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। ইঞ্জিন থামিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন চালকেরা। পরে দমকলকর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নিরাপত্তা কমিশনারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। দ্রুত রিপোর্ট জমা করার কথা।’’ ঘটনার পরে দীর্ঘক্ষণ আলুয়াবাড়ি-এনজেপি শাখায় আপ লাইনে ট্রেন বন্ধ ছিল। রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ বহু দূরপাল্লার ট্রেন ঘুরপথে বাগডোগরা হয়ে চালানো হয়েছে। আগুনের তাপে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকায় রেললাইন আলগা হয়ে গিয়েছে। তা মেরামত না করা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল সম্ভব নয়।
দুর্ঘটনার মোকাবিলা নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, ‘‘এত দূরপাল্লার ট্রেনে জ্বালানির ট্যাঙ্ক দুর্বল তা কেউ দেখবে না? যাত্রীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন আমাকে।’’ পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দুই যাত্রীর দেহ পৌঁছলে সেখানেও যান তিনি।