State news

জোড়া কালবৈশাখীতে বিপর্যস্ত ট্রেন চলাচল, বাতিল ৬টি ট্রেন, দুর্ভোগে যাত্রীরা

জোড়া কালবৈশাখীর জেরে বিপর্যস্ত হাওড়া এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রেন চলাচল। ফলে চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১১:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

জোড়া কালবৈশাখীর জেরে বিপর্যস্ত হাওড়া এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রেন চলাচল। ফলে চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা।

Advertisement

রবিবার রাতেই পশ্চিমবঙ্গে জোড়া কালবৈশাখী আছড়ে পড়ে। ফলে রবিবার গভীর রাত থেকেই কোথাও ওভারহেড তার ছিঁড়ে যায়। কোথাও ট্রেন লাইনের উপর গাছ উপড়ে পড়ে। সব মিলিয়ে শিয়ালদহ ডিভিশনে ১০২টি ট্রেন দেরিতে ছাড়ে। বাতিল করতে হয় ছ’টি ট্রেন। হাওড়া ডিভিশনে কোনও ট্রেন বাতিল করতে না হলেও আটটি লোকাল ট্রেন দেরিতে ছাড়ে।

রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ মেন লাইনে শিয়ালদহ-রানাঘাট লোকাল, শিয়ালদহ-বারাসত লোকাল, বারাসত-বনগাঁ, শিয়ালদহ-ডানকুনি, লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, রানাঘাট-গেদে আটকে পড়ে। সোনারপুরে ওভারহেড তার ছিঁড়ে যায়। দমদমে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে যায়। খড়দহেও ওভারহেড তার ছিঁড়ে গিয়েছে। ফলে এই সমস্ত লাইনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। উল্টোদিকে হাওড়া ডিভিশনে উত্তরপাড়াতে ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফাল্গুনে জোড়া কালবৈশাখী, এক ধাক্কায় তাপমাত্রা কমল পাঁচ ডিগ্রি

এগুলো মেরামতির কাজ চলছে। খুব দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হবে বলে জানিয়েছে রেল।

প্রকৃতি সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?

আরও পড়ুন:ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ ভেঙে রাস্তা বন্ধ বহু জায়গায়, শহরে থমকে যান চলাচল

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে পূবালী হাওয়ার সংঘাতে এই দুর্যোগ। তার জেরে জোড়া কালবৈশাখী আছড়ে পড়ে এ রাজ্যে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাত ৩টে ৫৫ মিনিট নাগাদ হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৪৪ কিলোমিটার। এর পর ভোরের দিকে ৪টে ২৫ মিনিট নাগাদ আরেকটি ঝোড়ো হাওয়া আছড়ে পড়ে শহরের বুকে। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৫৬ কিমি। আরও তিন দিন এই দুর্যোগ চলতে পারে, পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন