মোদীর প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা আমলাদের ‘পোস্টিং’ শিকেয় এ রাজ্যে

কেন আপত্তি নবান্নের? কর্মিবর্গ দফতর সূত্র বলছে, ইউপিএ জমানায় মুসৌরিতে প্রশিক্ষণ পর্ব সেরে নতুন আমলারা সরাসরি সংশ্লিষ্ট রাজ্যে চলে যেতেন। কিন্তু  মোদী আসার পর মুসৌরি পর্ব মিটিয়ে তাঁদের তিন মাসের জন্য কাজ করতে হয় দিল্লিতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:০৫
Share:

নরেন্দ্র মোদী ‘মগজ ধোলাই’ করে রাজ্যে পাঠিয়েছেন— ২০১৬ ব্যাচের ১৪ জন আইএএস সম্পর্কে এমনই ধারণা নবান্নের উপরতলার। তাই পুজোর মুখে রাজ্যে চলে এলেও ওই আমলাদের এখনও জেলায় ‘পোস্টিং’ দেওয়া হয়নি। আপাতত তাঁদের নানা দফতরের বিশেষ আধিকারিক হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে। কর্মিবর্গ দফতরের এক কর্তা জানান, ২০১৯, লোকসভা ভোটের আগে ওই আইএএস-দের জেলায় পাঠানো হবে না।

Advertisement

কেন আপত্তি নবান্নের? কর্মিবর্গ দফতর সূত্র বলছে, ইউপিএ জমানায় মুসৌরিতে প্রশিক্ষণ পর্ব সেরে নতুন আমলারা সরাসরি সংশ্লিষ্ট রাজ্যে চলে যেতেন। কিন্তু মোদী আসার পর মুসৌরি পর্ব মিটিয়ে তাঁদের তিন মাসের জন্য কাজ করতে হয় দিল্লিতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে। তার পর তাঁরা নিজের ক্যাডার-রাজ্যে ফেরেন। নবান্ন মনে করে, দিল্লিতে তিন মাসের জন্য রেখে নতুন অফিসারদের মগজ ধোলাই করা হয়। সেই কারণে রাজ্যে আসার পরেই তাঁদের জেলায় পাঠানো হয় না। নানা দফতরে কয়েক মাস রেখে ‘পাল্টা মগজ ধোলাই’ চলে। তার পরেই তাঁরা এসডিও হিসেবে কাজ শুরু করেন।

২০১৩ ব্যাচের অফিসারদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তাঁরা প্রশিক্ষণ শেষে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৫ সালের পুজোর পর। কিন্তু নবান্নের ধারণা ছিল, নতুন আইএএস-রা জেলায় গেলে বিধানসভা ভোট পরিচালনায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সাত মাস বিভিন্ন দফতরে ‘বসিয়ে রেখে’ বিধানসভা ভোটের পর তাঁদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: মমতাকে নিয়েই ফের সভা চান বিসিএস-রা

আইএএস-রা চাকরিতে যোগ দিয়ে প্রথমে মহকুমাশাসক হিসেবে কাজ করেন। বছরখানেক কাজ করার পরে তাঁরা অতিরিক্ত জেলাশাসক হন। বিধানসভা বা লোকসভা ভোটের সময় আমলারাই রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন। নবান্নের একাংশের বক্তব্য, নতুন অফিসাররা অভিজ্ঞতা অর্জন করার আগেই তাঁদের হাতে ভোট পরিচালনার ভার দেওয়া হলে গোলমাল হতে পারে। তাই লোকসভা ভোটের আগে সদ্য-আইএএস-দের জেলায় পাঠানোর প্রয়োজন নেই। অন্য দিকে আমলাদের একাংশের মতে, ভোট পরিচালনা প্রশাসনিক কাজের অন্যতম অঙ্গ। তাই মহকুমাশাসক স্তরের অফিসারদের সেই কাজে বেশি দায়িত্ব দেওয়া উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন