প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ও পরিবহণ সংগঠনের ডাকা ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটে দেশের অন্যান্য অংশের মতো না হলেও কিছুটা প্রভাব চোখে পড়েছে এ রাজ্যে। বিশেষ করে কোচবিহার, আসানসোল, রামপুরহাট, দুর্গাপুরের মতো বিভিন্ন জায়গায় বাস-অটোর সংখ্যা অন্যান্য দিনের থেকে বেশ কিছুটা কমই ছিল। পাশাপাশি, উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে রাস্তা অবরোধ করেন সিটু সমর্থকরা। বিজেপি এবং তৃণমূলের কোনও সংগঠন এই ধর্মঘটে যোগ দেয়নি। ধর্মঘটের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে তাতে সামিল সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু ৷
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন ধর্মঘটের জেরে নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। এ দিন সকাল থেকেই বাস-অটোর সংখ্যা কম থাকায় সমস্যায় পড়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারাও। ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে দেশের অন্যান্য অংশেও। কর্নাটক, হরিয়ানার মতো একাধিক রাজ্যেও বাস-অটো-লরি চালকরা ধর্মঘটে সামিল হয়। সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন।
সম্প্রতি পুরনো আইন সংশোধিত করে মোটর ভেহিকল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল এনেছে কেন্দ্র। তাতে পরিবহণ শ্রমিকদের আয়ের পথ জটিল হবে এবং উপার্জন কমে যাবে বলে শ্রমিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ। এই ‘কালা কানুন’-এর প্রতিবাদে দেশজোড়া ধর্মঘটের ডাক। তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে পরিবহণ ক্ষেত্রে বেশ কিছু দাবিদাওয়া যোগ করেছে সিটু-র মতো সংগঠন।
আরও পড়ুন: আজ পরিবহণ ধর্মঘট, রুখতে তৈরি রাজ্যও
আরও পড়ুন: ‘২ সন্তানের মুখ চেয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ওদের জন্যই বাঁচতে হবে’
নতুন বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এ দিন সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।