শহরে: হাসপাতালে ভর্তি সুদীপ। রবিবার। ছবি: সুমন বল্লভ।
তাঁর জামিন পাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল ‘অসুস্থতা’। জামিনের নির্দেশ হাতে আসার পরে সেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ভুবনেশ্বরের হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে বিমানবন্দর পৌঁছে, সেখান থেকে বিমানের প্রথম সারির আসনে বসে কলকাতায় চলে এলেন। সুদীপবাবুকে রাতেই অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার হাসপাতালে বসে সুদীপ বলেন, ‘‘আমি দুর্নীতিপরায়ণ নই। এত সহজে আমার রাজনৈতিক জীবনে কালি লাগানো যাবে না।’’
রোজ ভ্যালি-কাণ্ডে অভিযুক্ত এই তৃণমূল সাংসদের জামিনের বিরোধিতা করে আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই যে আবেদন করতে চলেছে, সেখানে তাঁর বিমানযাত্রার প্রসঙ্গটি তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিবিআই-এর অভিযোগ, এতটাই ‘অসুস্থ’ তিনি যে, এক দিনের মধ্যে বিমানে চেপে কলকাতায় চলে এলেন! অসুস্থ রোগীকে এক শহর থেকে অন্য শহরে উড়িয়ে নিয়ে যেতে গেলে বিমানে স্ট্রেচারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কম অসুস্থরা হুইল চেয়ারে যাতায়াত করেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভার জন্য এ বার মমতার প্রার্থী মানস-শান্তা
রবিবার সুদীপবাবু অবশ্য হুইল চেয়ারে করেই ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর থেকে বিমানে ওঠেন। কলকাতায় বিমান থেকে হুইল চেয়ারে করে নেমে অ্যাম্বুল্যান্সে উঠে অ্যাপোলো হাসপাতালে আসেন।
আপাতত স্বস্তি পেলেও সুদীপকে নিয়ে তাঁর লড়াই যে থামেনি, তা বুঝতে পারছেন সুদীপের স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘কলকাতায় আমাদের লোকবল বেশি। কলকাতায় নিয়ে এলে এটুকু বাড়তি সুবিধা।’’
সুদীপবাবু জানান, দলনেত্রী মমতার সঙ্গে আলোচনার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। সুদীপবাবুকে দেখতে মমতা ভুবনেশ্বরে যাওয়া প্রসঙ্গে সুদীপবাবু বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। দলনেত্রী আমাকে দেখতে এসেছিলেন। তার মানেই আমি প্রভাবশালী নই।’’