প্রশিক্ষণের গেরোয় কোর্টে শিক্ষকরা

স্কুল শিক্ষকদের বিএড প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)। তাদের আরও শর্ত হল, বিএড প্রশিক্ষণ নিতে হলে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০% নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। এই নিয়মের গেরোতেই বিপাকে পড়েছেন ২০১৩ সালে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা।

Advertisement

শমীক ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১৯
Share:

স্কুল শিক্ষকদের বিএড প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)। তাদের আরও শর্ত হল, বিএড প্রশিক্ষণ নিতে হলে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০% নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। এই নিয়মের গেরোতেই বিপাকে পড়েছেন ২০১৩ সালে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা।

Advertisement

তাঁদের ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন চারশো’র বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা। সম্প্রতি এই মামলার শুনানি হয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে। মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। তিনি রাজ্য সরকার এবং এনসিটিই কর্তৃপক্ষের আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন, কী ভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা আগামী ৫ জানুয়ারি আদালতকে জানাতে।

শিক্ষকদের পক্ষের আইনজীবী এক্রামূল বারি জানান, নিয়োগপত্র পেয়ে তাঁর মক্কেলরা যখন বিভিন্ন স্কুলে যখন যোগ দেন, তখন তাঁদের বিএড প্রশিক্ষণ ছিল না। রাজ্যেও পর্যাপ্ত সংখ্যক বিএড প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই। সেই কারণে রাজ্য সরকার এনসিটিই কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ না থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই কাজের জন্য সময় দেওয়া হোক। সেই আবেদন মেনে এনসিটিই কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে, চাকরিতে যোগ দেওয়ার দু’বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

Advertisement

এক্রামুল জানান, বিএড কেন্দ্রগুলিতে ভর্তি হতে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানতে পারেন, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকলে ভর্তি হওয়া যাবে না। ফলে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় বাড়ানো হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। কারণ, প্রশিক্ষণ পাওয়ার শর্তের কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাই আদালতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আবেদন করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকার শর্তটি শিথিল করা হোক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement