মীরার বৈঠকে ধাঁধা

রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী জোটের সম্মিলিত প্রার্থী মীরা কুমার রাজ্য বিধানসভায় প্রচারে আসছেন মঙ্গলবার। তৃণমূল, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস— তিন পরিষদীয় দলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে বসার কথা তাঁর।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৭ ০৪:১২
Share:

—ফাইল চিত্র।

বাইরে তাঁরা নতুন দলে। ভিতরে পুরনোই! দু’কূল রাখতে গিয়ে আপাতত মাঝদরিয়াতেই ভেসে থাকতে হচ্ছে দলত্যাগীদের! অন্তত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচার-পর্বে!

Advertisement

রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী জোটের সম্মিলিত প্রার্থী মীরা কুমার রাজ্য বিধানসভায় প্রচারে আসছেন মঙ্গলবার। তৃণমূল, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস— তিন পরিষদীয় দলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে বসার কথা তাঁর। সেই বৈঠকে হাজির থাকার জন্য শুক্রবার থেকে তিন পরিষদীয় দলের তরফেই বার্তা পাঠানো শুরু হয়েছে বিধায়কদের কাছে। কিন্তু কোনও দলেরই তালিকায় নেই ৯ জন। তাঁদের আপন দলের বিধায়ক হিসাবে ধরছে না কোনও দলই!

বিধানসভা ভোটের পরে সর্বশেষ শঙ্কর সিংহ, অরিন্দম ভট্টাচার্যকে ধরে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েছেন ৭ জন কংগ্রেস বিধায়ক। আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও যোগদান-পর্ব না হলেও বিরোধী বেঞ্চ ছেড়ে ট্রেজারি বেঞ্চে উঠে গিয়েছেন শম্পা দরিপা। আর সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন দীপালি বিশ্বাস। ঘটনাচক্রে, এ দিনই যাঁর দলত্যাগ নিয়ে শুনানির সাক্ষ্যদান-পর্ব শেষ হয়েছে স্পিকারের ঘরে। কিন্তু কংগ্রেস বা বাম পরিষদীয় দলের ব্যাখ্যা তলবের জবাবে তাঁরা সকলেই জানিয়েছেন, তাঁরা পুরনো দলেরই বিধায়ক আছেন। সেই সূত্র ধরেই তৃণমূল ওই বিধায়কদের মীরার বৈঠকে আমন্ত্রণ করার কথা ভাবছে না।

Advertisement

আবার দুই বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতৃত্ব মনে করছেন, যাঁরা বিধানসভায় তাঁদের বেঞ্চে বসেন না, পরিষদীয় দলের নির্দেশ মানেন না, তাঁদের এখন এমন বৈঠকে ডেকে লাভ কী? বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘যদি হুইপ জারির সুযোগ থাকত, দীপালিদেবীকে ডাকতাম। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য সেই সুযোগ নেই যখন, কেন ওঁকে বার্তা পাঠাতে যাব?’’ বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানেরও মন্তব্য, ‘‘দলত্যাগীরা সে দিন এলেও আমাদের লাভ। না এলেও লাভ!’’ কংগ্রেস পরিষদীয় দল তালিকা ধরে ধরে যে ৩৮ জন বিধায়ককে বার্তা পাঠাচ্ছে, তার মধ্যে দলত্যাগী ৮ জনকে রাখা হয়নি।

কী করবেন তা হলে দলত্যাগীরা? শঙ্করবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। আর এক বর্ষীয়ান বিধায়ক মানস ভুঁইয়া বলছেন, ‘‘আমি সবংয়ে আছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৫ তারিখের সভার জন্য জেলা জুড়ে প্রস্তুতি চালাচ্ছি। মীরা কুমারের ৪ তারিখের কর্মসূচি সম্পর্কে কিছু তো জানি না!’’ জানাবেন কে, প্রশ্ন সেটাই!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন