ট্রাকের ধর্মঘটে রুদ্ধ পথ

ছয় দফা দাবি নিয়ে ফেডারেশন অব ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন- এর ডাকে সোমবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৫৭
Share:

ট্রাকের সার রানাঘাটে। নিজস্ব চিত্র

লরি ধর্মঘটে গোটা রাজ্যের মতো নদিয়াতেও স্তব্ধ রইল পণ্য পরিবহণ। কল্যাণী থেকে করিমপুর, কোথাও লরির চাকা চলেনি। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দিনভর দাঁড়িয়ে থেকেছে সার-সার লরি।

Advertisement

ছয় দফা দাবি নিয়ে ফেডারেশন অব ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন- এর ডাকে সোমবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সংগঠনের নদিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক জগদীশ ঘোষ জানান, এই জেলায় তাঁদের প্রায় পাঁচ হাজার ট্রাক চলাচল করে। একটিও চলেনি। রেলস্টেশন বা কারখানায় মালপত্র খালাস হয়নি। অত্যাবশ্যকীয় পণের ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। সব জায়গায় ট্রাকের মালিকরা কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন।

পুলিশ, সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের হাতে হয়রানি, ওভারলোডিং বন্ধ করার মতো দাবি নিয়েই এই ধর্মঘট। সকাল ৭টা নাগাদ চাকদহ থানার শিমুরালি চৌরাস্তায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ট্রাক মালিকরা। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দু’ধারে গাড়ি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। বেগতিক বুঝে কিছু গাড়ি শিমুরালি বাজারের দিকে চলে যায়। কিছু গাড়ি কালীবাজারের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে থাকে। দুপুর ১টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। শিমুরালি ট্রাক মালিক সমিতির সম্পাদক তাপস পাল বলেন, “আমরা বাধ্য হয়ে ট্রাক ধর্মঘট শুরু করেছি। আমাদের দাবি জানাতেই সকাল থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলাম। দাবি নিয়ে আলোচনা চলছে খবর পেয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছি।”

Advertisement

এ ভাবে ট্রাক ধর্মঘট চলতে থাকলে বাজারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। রানাঘাট রেলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা পিন্টু সরকার বলেন, ‘‘ট্রাক চলাচলের সঙ্গে বাজারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকলে বিভিন্ন জায়গা থেকে জিনিসপত্র আদানপ্রদান বন্ধ হয়ে যায়। আমদানি কমে গেলে বাজারদর চড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। দেখা যাক, ধর্মঘট ক’দিন চলে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন