strike

১৮ জুন থেকে লাগাতার ট্রাক ধর্মঘট, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা

এ রাজ্যের প্রায় তিন লাখ ট্রাক মালিক এই ধর্মঘটে সামিল হচ্ছেন। সরাসরি তার প্রভাব পড়তে চলেছে পণ্য পরিবহণেও। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীরা খাদ্যপণের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৮ ২০:১১
Share:

ভারত সভা হলে বৈঠকে ট্রাক মালিকেরা-নিজস্ব চিত্র

আগামী ১৮ জুন থেকে লাগাতার ধর্মঘটে সামিল হচ্ছেন ট্রাক মালিকেরা। ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ‘অল ইন্ডিয়া মোটরস কংগ্রেস’ এবং ‘অল ইন্ডিয়া গুডস কনফেডারেশন’ আগেই ওই দিন দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল।

Advertisement

এ রাজ্যের প্রায় তিন লাখ ট্রাক মালিক এই ধর্মঘটে সামিল হচ্ছেন। সরাসরি তার প্রভাব পড়তে চলেছে পণ্য পরিবহণেও। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীরা খাদ্যপণের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন। গত কয়েক দিনে ৭০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ডিজেলের দাম। বুধবার অবশ্য কিছুটা দাম কমেছে। কলকাতায় ডিজেলের মূল্য দাঁড়ায় ৬৮ টাকা ৬৩ পয়সায়।

এর পর ট্রাক মালিকেরা ধর্মঘট তুলে নেবেন, নাকি ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন, তা নিয়ে নিজেরাই সন্দিহান ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ‘ভারত সভা’ হলে বৈঠকে বসেন ট্রাক মালিকেরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ১৭ মে বৃষ্টিই পড়েনি! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই কি সামনে আসে ‘নগ্ন ভিডিও’?

আরও পড়ুন: এই বাঙালি কন্যাকে চিনে রাখুন, পরিচয় জানলে অবাক হবেন

আশা করা যাচ্ছিল হয়তো তাঁরা ধর্মঘট থেকে সরে আসছেন। কিন্তু বৈঠক শেষে দেখা গেল অন্য ছবি। ট্রাক মালিকেরা জানিয়ে দিলেন, ১৮ জুন থেকে লাগাতার ধর্মঘটে সামিল হচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় দু’টি সংগঠনের সিদ্ধান্তকে আগেই সমর্থন জানিয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স ওয়েলফেয়ার’, ‘ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন’-সহ ভারী পণ্যপরিবহণ সংগঠনগুলি।

এ দিন ওই সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়, শুধু জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধিই নয়, পুলিশি জুলুমেরও প্রতিবাদে ধর্মঘট। গত কয়েক বছরে লাগাতার বেড়ে চলেছে পেট্রল, ডিজেল-সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম। পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই পুলিশি হেনস্থার শিকার হন চালকেরা। ওভারলোডিং-এর নাম করে জোর করে টাকা নিচ্ছেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। এ সব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অচল অবস্থা চলবে।

‘ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে যুগ্ম সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “লরি বা ট্রাকেই মূলত খাদ্যপণ্য পরিবহণই হয়ে থাকে। ডিজেলের দাম বাড়ালে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বেই। বাধ্য হয়েই আমাদের ধর্মঘটে সামিল হতে হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement