দার্জিলিং মেল নিয়ে টানাটানি

দার্জিলিং মেলের রুট পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে বিরোধিতা, পাল্টা বিরোধিতা শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। শুক্রবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বিক্ষোভ দেখিয়ে ডিওয়াইএফ দাবি করে, দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য রক্ষা করে এনজেপি-কে দার্জিলিং মেলের ‘অরিজিন’ স্টেশন রাখতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:০১
Share:

আন্দোলন: এনজেপি স্টেশনের সামনে দাবি বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

দার্জিলিং মেলের রুট পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে বিরোধিতা, পাল্টা বিরোধিতা শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। শুক্রবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বিক্ষোভ দেখিয়ে ডিওয়াইএফ দাবি করে, দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য রক্ষা করে এনজেপি-কে দার্জিলিং মেলের ‘অরিজিন’ স্টেশন রাখতে হবে। স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপিও দিয়েছে সংগঠন। অন্য দিকে, প্রতিদিন আলিপুরদুয়ার স্টেশন থেকে দার্জিলিং মেল ছাড়া হবে বলে রেলের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সেখানে নাগরিক কনভেনশন ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মানবিক মুখ।

Advertisement

রেলের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভাবনাচিন্তা চলছে। রেলের এক কর্তা বলেন, ‘‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। রেল সব কিছু ভেবেই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

এ দিন ডিওয়াইএফের দার্জিলিং জেলা কমিটির তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌরাশিস রায় বলেন, ‘‘রেল যদি সত্যি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তবে আরও বড় আকারে আন্দোলন হবে।’’

Advertisement

সম্প্রতি দার্জিলিং মেলকে এনজেপি-র বদলে আলিপুরদুয়ার থেকে ছাড়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাই আশোকবাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন সংগঠন। আলিপুরদুয়ারের মানবিক মুখের মুখপত্র রাতুল বিশ্বাস বলেন, ‘‘অশোকবাবুর বিরোধিতা দুর্ভাগ্যজনক। অশোকবাবু আলিপুরদুয়ারে এলেও আমরা বিক্ষোভ দেখাব।’’ আর একটি সংগঠনের সম্পাদক ল্যারি বসু জানান, আগামী রবিবার আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে তাঁরা জমায়েত করবেন। আলিপুরদুয়ার থেকে দার্জিলিং মেল ছাড়ার কথা শুনে যে বিরোধিতা দেখানো হচ্ছে শিলিগুড়িতে, তাঁদের জমায়েত হবে তার পাল্টা বিরোধিতায়।

আরএসপি-র প্রাক্তন বিধায়ক নির্মল দাস বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ার থেকে দার্জিলিং মেলে ছাড়লে তা এনজেপি হয়েই যাবে। এতে বিরোধিতার কী আছে!’’ এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘অশোক ভট্টাচার্যের বিরোধিতার কোনও গুরুত্ব নেই। এই প্রস্তাব দীর্ঘদিনের। আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে দার্জিলিং মেল দ্রুত ছাড়বে বলে আশা রাখছি।’’

অশোকবাবুর অবশ্য মন্তব্য, ‘‘আমি চাই, আলিপুরদুয়ার থেকে কলকাতার আরও বেশি ট্রেন ছাড়ুক। কিন্তু শিলিগুড়ির বিধায়ক হিসেবে আমি চাইছি, দার্জিলিং মেল এখান থেকেই ছাড়ুক। এর মধ্যে অন্যায় বা অন্যায্য কিছু নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন