সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে টাকা নিয়ে ভর্তির অভিযোগে দু’জনকে হাতেনাতে ধরেছে পুলিশ। ধৃতদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে এই প্রথম নয়, এর আগেও এমন ঘটনা সেন্ট জেভিয়ার্সে ঘটেছে।
বুধবার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে থেকে পুলিশ দু’জনকে ধরে। চন্দননগরের বাসিন্দা শ্যামল পোদ্দার মুচিপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তীর হাতে ১৫ লক্ষ টাকা তুলে দিচ্ছিলেন। তখনই পুলিশের হাতে দু’জন ধরা পড়েন।
পরে এঁদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুব্রত এর আগে টাকা নিয়ে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল এবং কলেজে পড়ুয়া ভর্তি করেছেন। তবে এর পিছনে রয়েছে একটি চক্র। পুলিশ সূত্রের খবর, সেই চক্রে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তনী সংসদের এক প্রভাবশালী সদস্য রয়েছেন।
সুব্রত জেরার মুখে জানিয়েছেন, তাঁর মাধ্যমে এর আগে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে তিন জন ভর্তি হয়েছে। যারা এখন প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। এ বার আরও দু’জনকে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে বি-কমে ভর্তির জন্য শ্যামল পোদ্দারের থেকে তিনি ১৫ লক্ষ টাকা চান। টাকা নেওয়ার সময় পুলিশের জালে পড়েন।
রাজ্যে কলেজে কলেজে চলতি ভর্তির মরসুমে টাকা নিয়ে ভর্তির অভিযোগ অজস্র। তাতে মূলত শাসক দলের ছাত্র সংসদের দিকেই আঙুল। কিন্তু সেন্ট জেভিয়ার্সের সঙ্গে রাজনীতির যোগাযোগ নেই। তবু কী করে এখানে ভর্তির ক্ষেত্রে গড়ে উঠল দালাল চক্র? বিস্মিত শিক্ষামহল। তবে কলেজের অধ্যক্ষ ফেলিক্স রাজের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। মেসেজ-এরও উত্তর মেলেনি।