ফের অস্ত্র উঁচিয়ে মিছিল দুই জেলায়

রামনবমী মিটে যাওয়ার পরেও অস্ত্র নিয়ে মিছিল চলছে রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরে প্রশাসনের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তবু রবিবার হুগলির চন্দননগর এবং উত্তর ২৪ পরগনার হাজিনগরে খোলা তরোয়াল, কাস্তে, দা উঁচিয়ে শোভাযাত্রা হল!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর ও নৈহাটি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৫৩
Share:

নৈহাটির হাজিনগরে রবিবার সজল চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

রামনবমী মিটে যাওয়ার পরেও অস্ত্র নিয়ে মিছিল চলছে রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরে প্রশাসনের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তবু রবিবার হুগলির চন্দননগর এবং উত্তর ২৪ পরগনার হাজিনগরে খোলা তরোয়াল, কাস্তে, দা উঁচিয়ে শোভাযাত্রা হল! সঙ্ঘ পরিবারের নানা সংগঠনের পাশাপাশি মিছিলে চোখে পড়ল বিজেপি-র পতাকাও।

Advertisement

হুগলি জেলা পুলিশের এক কর্তার বক্তব্য, অশান্তির আশঙ্কায় চন্দননগরে মিছিল চলাকালীন বাধা দেওয়া হয়নি। কিন্তু ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। মামলা করার ‘অনুমতি’ পেলেই পুলিশ পদক্ষেপ করবে। আবার ব্যারাকপুরে পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্রের দাবি, সশস্ত্র মিছিলের অনুমতি ছিল না। হাজিনগরে অস্ত্র নিয়ে মিছিল হয়ওনি। অশান্তি রুখতে র‌্যাফ-সহ প্রস্তুত ছিল পুলিশ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড় করিয়ে হারাব, তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের

Advertisement

নৈহাটির হাজিনগরে রবিবার সজল চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

দুই জেলার এই দুই মিছিল অস্ত্র নিয়ে রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক বিতর্কে ফের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের দাবি, ‘‘বিজেপি বলে নয়, অস্ত্র হাতে যাঁরা বেআইনি মিছিল করছেন, ছেলেমেয়েদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা তো নিতেই হবে।’’ তাঁর প্রশ্ন, প্রশাসনের নজর এ়ড়িয়ে এত অস্ত্র এল কোথা থেকে? সূর্যবাবুর কটাক্ষ, ‘‘আসলে মোদী-মমতা যাত্রামঞ্চে রাম-রাবণের যুদ্ধ খেলছেন! সাজঘরে দু’জনের মধ্যেই সমঝোতা রয়েছে!’’

আরও পড়ুন: ফের অস্ত্র উঁচিয়ে মিছিল দুই জেলায়

অস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘তরোয়াল হচ্ছে শৌর্যের প্রতীক। আমাদের অন্যান্য ধর্মের ভাইয়েরা যেমন তাঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেন, আমরা তা-ই করছি। সত্যযুগ থেকে রামনবমী পালিত হয়ে আসছে। কেউ ঠেকাতে পারলে ঠেকাক!’’ এ দিন ডায়মন্ড হারবারের সভায় তাঁর হাতে অস্ত্র তুলে দেন কর্মীরা। রাজ্যে সফররত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এক এক রকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন। রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহান বলেছেন, সশস্ত্র মিছিল ়উচিত নয়।
কিন্তু রামনবমীতে যা ব্যবহৃত হয়েছে, তা দেবী দুর্গার অস্ত্র। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের অভিযোগ, মিছিলে অস্ত্র প্রসঙ্গে তৃণমূলের সরকার ‘দ্বিচারিতা’ করছে। সিউড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর দাবি, মিছিলে প্রদর্শিত অস্ত্র ‘আসল’ নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন