শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ।
ক্রমেই আরও শঙ্কা বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ।
এমন ভাবে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে সে, যা আবহবিদদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘‘কোনও নিম্নচাপ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে য়খন শক্তি বাড়ায় তখনই তার গতিপ্রকৃতি আঁচ করা যায় না। কতটা শক্তি বাড়িয়ে কোথায় যে সে আঘাত করবে তা বোঝা যায় না। তাই আমাদের ২৪ ঘণ্টা ধরে নজর রাখতে হয় ওই নিম্নচাপের উপরে।’’
দিল্লির মৌসম ভবনের এক আবহবিদের কথায়, ‘‘যে সব নিম্নচাপের শক্তি এবং গতিপথ আগে থেকে বোঝা যায় না, সেগুলিকে নিয়ে আমাদের চিন্তা থাকে। বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি সেই প্রকারের।’’ আগামিকাল বুধবারের আগে ওই নিম্নচাপের গতিপ্রকৃতি বোঝা যাবে না বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা।
আলিপুর হাওয়া অফিসের এক আবহবিদের কথায়, ‘‘যত ক্ষণ না পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপটি তার অবস্থান পরিবর্তন করছে, তত ক্ষণ আবহাওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনও পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ওই নিম্নচাপ কোন অভিমুখে সরছে তার ওপরেই নির্ভর করবে আগামী কয়েক দিন কোথায় কতটা বৃষ্টি হবে।’’
তবে গভীর নিম্নচাপটি সোমবার যে অবস্থানে রয়েছে, তাতেও আগামী তিন দিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। নিম্নচাপটি তার শক্তির বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এ দিন কলকাতায়ও সেই হাওয়া টের পাওয়া গিয়েছে। আবহবিদদের পূর্বাভাস, গভীর নিম্নচাপটি যত শক্তি বা়ড়াবে ততই হওয়ার গতিবেগ বাড়বে। হাওয়া কমলেই নামবে প্রবল বৃষ্টি।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান এবং বাঁকুড়াতেই তুলনায় বেশি বৃষ্টি হবে। তার ফলে ওই জেলাগুলির নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস।
দক্ষিণবঙ্গে যখন দুর্যোগের সতর্কতা তখন উত্তরবঙ্গে কিন্তু বৃষ্টির কোনও সম্ভবনাই এই মুহূর্তে দেখছে না হাওয়া অফিস। গত এক মাস ধরে উপকূলে ঘন ঘন তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত আর নিম্নচাপকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণবঙ্গ কিন্তু বৃষ্টির হিসেবে পিছনে ফেলে দিয়েছে উত্তরবঙ্গকে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে দার্জিলিঙের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ সময়ের স্বাভাবিকের থেকে বেশি। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলেও দুই দিনাজপুর কিন্তু তেমন বৃষ্টি পায়নি।
এই সংক্রান্ত আরএ খবর...