প্রতীকী ছবি
আয়ের দিক থেকে অসাম্য কমানোয় এগিয়ে। জীববৈচিত্র রক্ষাতেও এগিয়ে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে রইল পরিবেশ বাঁচিয়ে নগরায়ন, সস্তায় পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বন্দোবস্ত, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণের মাপকাঠিতে।
দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ ২০৩০-এর জন্য যে সব লক্ষ্যমাত্রা বেঁধেছে, তার ভিত্তিতে কোন রাজ্য কী অবস্থানে রয়েছে, আজ তার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৯টি রাজ্যের মধ্যে সার্বিক ভাবে ১৭তম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম সারিতে কেরল, হিমাচল প্রদেশ ও তামিলনাড়ু। একেবারে শেষে উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও অসম।
দারিদ্র দূরীকরণ, ক্ষুধার নিবৃত্তি, সুস্বাস্থ্য থেকে ভাল মানের শিক্ষা, আর্থিক বৃদ্ধি, ঠিক মতো কাজের সুযোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের একগুচ্ছ লক্ষ্য বা ‘সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ ২০১৫-তে ঠিক করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারও এই লক্ষ্যগুলি গ্রহণ করে রাজ্যগুলির মধ্যে সুস্থ প্রতিযেগিতা তৈরি করতে চাইছে। সেই কারণেই এই রিপোর্ট।’’ নীতি আয়োগের এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সংযুক্তা সমাদ্দার বলেন, ‘‘বিভিন্ন মন্ত্রকের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই সূচক তৈরি হয়েছে। রাজ্যগুলির সঙ্গেও বিশদ আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা রাজ্যগুলির থেকেও তথ্য নেব।’’
প্রতিটি লক্ষ্যে ১০০ নম্বরের মধ্যে সব রাজ্যকে নম্বর দেওয়া হয়েছে। সার্বিক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ ১০০-র মধ্যে ৫৬ নম্বর পেয়েছে। যেখানে কেরল ও হিমাচল পেয়েছে ৬৯। পশ্চিমবঙ্গ ভাল ফল করেছে জীববৈচিত্রে এবং আয়ের দিক থেকে অসাম্য কমানোয়। এ বিষয়ে রাজ্যের প্রাপ্ত নম্বর ৮৮ ও ৭৬। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দ্বিতীয়টির কৃতিত্ব দাবি করতেই পারে বলে অনেকের মত। সুস্বাস্থ্য, শান্তি, বিচার, মজবুত প্রতিষ্ঠানের মাপকাঠিতেও পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে। আর্থিক বৃদ্ধি, মোটামুটি ভাল কাজের সুযোগ, দারিদ্র দূরীকরণেও রাজ্যের ফল খারাপ নয়। কিন্তু সস্তায় পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি, পরিবেশ বাঁচিয়ে নগরায়ণে পশ্চিমবঙ্গ ১০০-য় পেয়েছে যথাক্রমে ৪০ ও ২৫। শিল্পক্ষেত্রে উদ্ভাবনেও পশ্চিমবঙ্গের নম্বর মাত্র ৪৫। সুস্বাস্থ্যের মাপকাঠিতে পশ্চিমবঙ্গ ৬৬ পেলেও ভাল মানের শিক্ষায় পেয়েছে মাত্র ৫১। পরিশ্রুত পানীয় জলের মাপকাঠিতে পশ্চিমবঙ্গ ৫৪ নম্বর পেয়েছে। লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে ৪০।