উপাচার্যকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। মন্ত্রকের সে এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরে, বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়লেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তর আইনজীবী।
চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউজিসি-র বিধি না মানা-সহ নানা অভিযোগে সুশান্তবাবুর বিরুদ্ধে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গড়েছে। ওই কমিটির এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করেছেন সুশান্তবাবু। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ রিপোর্ট পেশ করে জানান, বিনা টেন্ডারে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার কাজের বরাত দেওয়া-সহ নানা অভিযোগে সুশান্তবাবুকে নোটিস পাঠিয়েছে মন্ত্রক।
উপাচার্যের আইনজীবী সৌরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন, ওই নোটিস পাঠানোর এক্তিয়ার রয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের। মন্ত্রকের সে এক্তিয়ার নেই। যদিও কেন্দ্রের কৌঁসুলি জানান, এ ধরনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সরাসরি নোটিস পাঠায় না। তাদের অনুমতি নিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকই নোটিস পাঠায়। এর পরেই বিচারপতি সৌরেন্দ্রনাথবাবুর কাছে জানতে চান, অনুসন্ধান কমিটির এক্তিয়ার নিয়ে উপাচার্যের আইনজীবীর কিছু বলার আছে কি না। কারণ, এর আগের শুনানিতে (২৪ জুন) ওই আইনজীবী অনুসন্ধান কমিটির এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ দিন মন্ত্রকের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। সে ক্ষেত্রে কারণ দর্শানোর নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করতে হবে। সৌরেন্দ্রনাথবাবু আদালতের কাছে সময় চান। পরের শুনানি হবে ১৫ জুলাই।