West Bengal Assembly Election 2021

Bengal Election: মাস্ক আছে, তবে লাইনে ঘেঁষাঘেঁষি

ভোটারদের দাঁড়ানোর জায়গা নির্দিষ্ট করে চক দিয়ে গোল দাগ টানার কথা ছিল। তবে বেশির ভাগ বুথেই তা দেখা যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান ও কালনা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২১ ০৬:১৬
Share:

রায়নার বুথে। নিজস্ব চিত্র।

করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। প্রচার-রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মাস্কহীন মুখ আশঙ্কা বাড়িয়ে দিলেও ভোটের দিনে বেশির ভাগ মুখই ছিল মাস্কে ঢাকা।

Advertisement

শনিবার, পূর্ব বর্ধমানের আট কেন্দ্রে ভোট ছিল। অধিকাংশ ভোটারই মাস্ক পরে আসেন। তবে লাইনে দূরত্ব-বিধি মানা হচ্ছে বলে সে ভাবে দেখা যায়নি। ভোটারদের দাঁড়ানোর জায়গা নির্দিষ্ট করে চক দিয়ে গোল দাগ টানার কথা ছিল। তবে বেশির ভাগ বুথেই তা দেখা যায়নি। সমস্ত বুথে থার্মাল গান, স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা ছিল। বুথে ঢোকার মুখে গ্লাভস্‌ দেওয়া হয়। তবে শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের বুথে স্বাস্থ্য-বিধি মানার হার কম ছিল।

কালনার বৈদ্যপুর মডেল বুথে দুপুরে দেখা যায়, লাইনের বেশির ভাগ মানুষ মাস্কহীন। ভোটকর্মীদের দাবি, দু’দফায় মাস্ক বিলি করা হয়েছে। তার পরে শেষ হয়ে যায়। আনুখাল, বাদলা এলাকাতেও আশাকর্মীরা মাস্ক বিলি করেন অনেককে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও অনেক জায়গায় ভোটারদের মাস্ক পরতে বলেন। কালনার শতপটি মালোপাড়ার একটি বুথে মাইক নিয়ে জওয়ানেরা মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করতে বলছিলেন। ভোটের আগে, পরে বুথ চত্বরে জটলাও দেখা যায় জামালপুর, বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের কিছু এলাকায়। মন্তেশ্বরের তৈয়বপুরে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দেখা যায়, গা ঘেঁষে বহু ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। জামনা অঞ্চলের কানপুর স্কুলেও দেখা যায়, স্যানিটাইজ়ার দেওয়া, থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু লাইনে দূরত্ব-বিধি মানা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি কিছু জায়গায়।

Advertisement

বর্ধমানের সরাইটিকর প্রাথমিক স্কুলের পাঁচটি বুথেও মাস্ক শেষ হয়ে যায়। বুথকর্মীদের দাবি, মাস্ক কম দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। কমিশনের নির্দিষ্ট জায়গায় জানানো হয়েছে। জামালপুর বিধানসভার পর্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দু’টি বুথেও মাস্কের সঙ্গে ভোটদানের জন্য দেওয়ার গ্লাভস্‌ শেষ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এর ফলে, দুপুরে ঘণ্টাখানেক খালি হাতেই অনেকে ভোট দেন। ভোটকর্মীরা জানান, বিষয়টি সেক্টর অফিসে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে মাস্ক ও গ্লাভস পাঠানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সরাইটিকরে ৭১ নম্বর বুথে এক ভোটার হেলমেট পরে ভোট দিতে আসেন। সুমন দুর্লভ নামে ওই ভোটারের দাবি, করোনা থেকে মুখের বেশির ভাগ অংশ বাঁচাতেই এই উদ্যোগ। এ ছাড়া, গোলমাল এড়াতেও হেলমেট কাজে লাগবে, দাবি তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন