শ্রেয়সী পাল, মাধ্যমিকে দ্বিতীয়। নিজস্ব চিত্র।
পড়াশোনার মাঝে নিজের শখগুলো হারিয়ে যেতে থাকে মেধাতালিকায় থাকা অনেক পড়ুয়ারই। গুরুত্ব পায় শুধুমাত্র সিলেবাসের পড়াশোনা। ব্যতিক্রম মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় থাকা শ্রেয়সী পাল।
যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সে। ফালাফাটা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী শ্রেয়সীকে ঘিরে আজ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে ডুয়ার্সের ছোট্ট সবুজ এই শহর। পাড়াপ্রতিবেশী থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন প্রত্যেকেই শ্রেয়সীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। না, শুধুই ভাল ফলের জন্য নয়। তার স্বভাবের জন্যও। ৭০০ নম্বরের মধ্যে ৬৯১ পেয়ে শ্রেয়সী যে খুব খুশি, তা তো বলাই বাহুল্য।
‘‘রেজাল্টের আগের রাতটা কিন্তু টেনশনেই কেটেছে। তাই অরিজিৎ সিংহের গান শুনেছি টেনশন কাটাতে’’, জানায় শ্রেয়সী।
আরও পড়ুন: পড়ার ফাঁকে খাটে বসেই ব্যাটিংয়ে শ্যাডো প্রাক্টিস করত কলকাতায় প্রথম সোহম
গান গাইতে আর গান শুনতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে শ্রেয়সী, তবে পরীক্ষার চাপে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখতে শিখতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অবসর সময়ে গানই তাঁর সঙ্গী। শুধু গান নয়, আবৃত্তিও বেশ পছন্দের। সুবোধ ঘোষের লেখা আর সুবোধ সরকারের কবিতা পড়তে ভালবাসে শ্রেয়সী, আনন্দবাজার ডিজিটালকে এমনটাই জানায় সে। প্রিয় বন্ধু দিদির সঙ্গে সময় কাটাতেও বেশ ভালবাসে মাধ্যমিকের কৃতি।
আরও পড়ুন: এ বার মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬. ০৭, প্রথম পূর্ব মেদিনীপুরের সৌগত দাস
মাধ্যমিকের সময় সাত জন গৃহশিক্ষক থাকলেও প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বাবাই সবসময় তাঁকে সাহায্য করতেন, জানায় সে। পরবর্তীতে ডাক্তার হিসাবেই নিজেকে দেখতে চাইছে শ্রেয়সী। কারণ পাড়াতেও কারও কোনও অসুবিধা হলে সবসময় পাশে থাকতে দেখেছে বাবা-মাকে। তাই বেছে নিতে চায় এই পেশা।