স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্যের সঙ্গে সোহম। নিজস্ব চিত্র
পড়াশোনার মাঝে নিজের প্রিয় বিষয়গুলো হারিয়ে যেতে থাকে মেধাতালিকায় থাকা অনেক পড়ুয়ারই। গুরুত্ব পায় শুধুমাত্র পড়াশোনা। কিন্তু খানিকটা ব্যতিক্রম সোহম দাস। মাধ্যমিকে কলকাতার কৃতিদের মধ্যে প্রথম হয়েছে সে। মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় দশম স্থানে রয়েছে তার নাম। কিন্তু ছাড়তে পারেনি ক্রিকেটের নেশা।
মাধ্যমিকে ৭০০-র মধ্যে সোহমের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১। কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্র সোহম। যাদবপুরের সন্তোষপুর এলাকায় সোহমের বাড়িতে সকাল থেকেই ভিড়। আত্মীয়-স্বজনরাও আসছেন। আসছেন পাড়া-প্রতিবেশীরাও।
উচ্ছ্বসিত স্কুলের শিক্ষকরাও। নিজের ফল শুনেই স্কুলে শিক্ষকদের কাছে গিয়েছিল সে। পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত সোহম মিষ্টি খাইয়ে দিতে ভোলেনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্যকে। স্কুলের অন্য শিক্ষকরাও প্রিয় ছাত্রের সাফল্যে গর্বিত। সোহমের সঙ্গে শিক্ষকদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল, জানাতে ভোলেনি সেও।
আরও পড়ুন: এ বার মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬. ০৭, প্রথম পূর্ব মেদিনীপুরের সৌগত দাস
সোহমের বাবা সঞ্জীবকুমার দাস বললেন, ‘‘পড়াশোনায় ভাল ছেলে সোহম। তবে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধূলাতেও অনেকটাই সময় দিত সে। পাড়া নয়, বরং স্কুলেই বন্ধু ছিল তার। সঞ্জীববাবুর কথায়, ‘‘সোহম পড়তে এতটাই ভালবাসত যে পড়তে পড়তে খাটে বসেও অনেক সময় ক্রিকেট ব্যাট চালাত। খেলতে খুব ভালবাসত।’’
আরও পড়ুন: রাজীবের আবেদন শুনল না আদালত, বহাল আগের রায়
ক্রিকেট ধ্যানজ্ঞান হলেও পড়াশোনার কারণেই মাঠে যেতে খুব একটা পারত না। তবে গল্পের বই পড়ত সময় পেলেই।
উচ্ছ্বসিত যাদবপুর বিদ্যাপীঠের শিক্ষকরা। নিজস্ব চিত্র
আজ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল। সকাল ন’টার পর আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলপ্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানা যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy