State news

এত নম্বর পাব আশা করিনি, বলল মাধ্যমিকে দশম হওয়া খেলাপাগল সোহম

এই কিশোরই যে এ বারের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকারী করে নেবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি সোহমের বাবা-মা।

Advertisement

সোমনাথ মণ্ডল

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৯ ১৭:১২
Share:

বাবা, মা এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সোহম দাস। —নিজস্ব চিত্র।

আন্দ্রে রাসেল, কোহালির ‘বিরাট’ ভক্ত বছর পনেরোর এই কিশোর। মাধ্যমিক তো কী হয়েছে? তার কাছে বিরাটের কভার ড্রাইভ সব কিছুর আগে। রাসেল ঝড়় শুরু হলে তো কথাই নেই। ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হলে পড়াশোনা ছেড়ে টিভি পর্দার সামনে ঠায় বসে থাকত যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্র সোহম দাস।

Advertisement

এই কিশোরই যে এ বারের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকারী করে নেবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি সোহমের বাবা-মা। প্রথম স্থানাধিকারী সৌগত দাসের থেকে মাত্র ১৩ নম্বর কম পেয়েছে সোহম। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১।

মঙ্গলবার মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সাংবাদিক সম্মেলনে সোহমের নাম শুনে চমকে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা সঞ্জিত দাস। জীবন বিমা সংস্থায় কাজ করেন বাবা সঞ্জিতবাবু। ছেলের এই সাফল্যে তিনি আবেগতাড়িত। তাঁর কথায়, “পড়াশোনা নিয়ে আমরা ওকে খুব একটা চাপ দিতাম না। ও নিজের মতো হিসেব করে পড়াশোনা করত।”

Advertisement

মায়ের কাছে অবশ্য মাঝে মধ্যে বকুনি খেতে হত সোহমকে। ছেলের এই সাফল্যে মিতালিদেবী খুশি। তিনি বলেন, “ওর ইচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার হবে। আমরাও চাই ও নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাক।” সংবাদমাধ্যমে সোহমের এই সাফল্যের খবর ছড়িয়ে পড়তে প্রতিবেশীরা সন্তোষপুরের বিধান কলোনির বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করেন। সবারই হাতে মিষ্টির প্যাকেট। সোহম নিজে অবশ্য বলছে, “এত নম্বর পাব বলে আশা করিনি। টেস্টে ৬৫০ নম্বর পেয়েছিলাম। তার পরেও মেধাতালিকায় জায়গা করতে পারায় ভাল লাগছে। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছে রয়েছে। দেখা যাক কী হয়?”

আরও পড়ুন: এ বার মাধ্যমিকে পাশের হার সবচেয়ে বেশি, প্রথম পূর্ব মেদিনীপুরের সৌগত

সোহম নিজে ক্রিকেটের ভক্ত। পড়াশোনার থেকে খেলাধুলো নিয়েই থাকতে ভালবাসে। রাসেল-বিরাটের এই ভক্তের সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। না আছে ফেসবুক, না আছে হোয়াট্‌সঅ্যাপ। খেলা বাদ দিয়ে সময় পেলেই রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, ব্যোমকেশ নিয়ে মজে থাকে সোহম। তাঁর কথায়, “কোহালির ব্যাটিং তো ভালই লাগে। ওর স্ট্যাইল আরও ভাল লাগে। রাসেল আমার প্রিয়। খারাপ লাগছে নাইট রাইডার্স হেরে গেল বলে। আমি দিনে ১০ ঘণ্টা পড়তাম। যখন যে বিষয় ভাল লাগত, সেটাই পড়তাম।”

সোহমের সাফল্যে তার সহপাঠী এবং যাদবপুর বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও খুশি। প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, “ও কলকাতার মুখ উজ্জ্বল করেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন