মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায়। বিধানসভায় বাজেট-পর্বে তাই তাঁর আসন খালি। নিজস্ব চিত্র
প্রত্যাশা থাকলেও রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মীদের বেতন কমিশন নিয়ে কিছুই বলা হল না। বেতন-পেনশন খাতে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তাতেও নতুন হারে বেতন দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন না অর্থ দফতরের কর্তারা।
অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অবশ্য বলেছেন, ‘‘বেতন কমিশনের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা চলছে। উপযুক্ত সময়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তবে কর্মচারীদের ১২৫% ডিএ তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই দিয়েছে।’’ অর্থ দফতরের খবর, বেতন কমিশনের তরফে একটি প্রাথমিক হিসাব ইতিমধ্যেই নবান্নে পাঠানো হয়েছে। তাতে দু’রকমের কথা বলা হয়েছে, যদি কেন্দ্রীয় হারে বেতন বাড়ানো হয়, তা হলে অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে। আর যদি বাড়ি ভাড়ার টাকা বাদ দেওয়া হয়, তা হলে সাত হাজার কোটি টাকা বাড়তি ধরলেই হবে।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশন যখন রাজ্যে আসার সময় যে হিসাব পেশ করা হয়েছিল, তাতেও ২০১৯-এর এপ্রিল থেকেই বাড়তি বেতনের কথা জানিয়েছিল অর্থ দফতর। কর্মচারীদের মনে সেই কারণেই আশা জেগেছিল।
বেতন কমিশন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে একটি করে দফতর ডেকে তাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এর পর পুলিশ কর্মীদের দাবিদাওয়া শোনা হবে। সে সব শেষ করতে আরও কয়েক মাস লাগতে পারে। তবে নবান্ন চাইলে দ্রুত সেই কাজও শেষ করা যাবে বলে দাবি করেছেন কমিশনের এক সদস্য।