Mamata Banerjee on ECI

‘নির্বাচন কমিশন অমিত শাহের হাতের পুতুল’! কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেওয়া হবে না, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

ঝাড়গ্রামের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চালুর উদ্দেশ্যেই ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর)-র কাজ শুরু করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৫ ১৭:৪২
Share:

ঝাড়গ্রামের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সমাজমাধ্যম থেকে নেওয়া।

নির্বাচন কমিশনকে পরিচালনা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলা ভাষার উপর আক্রমণের প্রতিবাদে বুধবার ঝাড়গ্রামে আয়োজিত সভায় এই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন অমিত শাহের হাতের পুতুল। যে দিকে নাচাবেন, সে দিকেই নাচবে।’’

Advertisement

ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিককে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করার কথা জানিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ওই চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের মধ্যে দু’জন ‘নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (‘ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ বা ইআরও) এবং ‘সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ বা এইআরও)। কমিশনের সেই পদক্ষেপই যে তাঁর উষ্মার কারণ, বুধবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেই সঙ্গেই তাঁর সরকার যে কমিশনের ওই নির্দেশ মানবে না, সে বার্তাও দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট (শাস্তি) হতে দেব না।’’ মমতা বলেন, নির্বাচনের এখনও অনেক দেরি। তা সত্ত্বেও কমিশন অতিসক্রিয়। এখন থেকেই সাসপেন্ড করতে শুরু করেছে। নাম না করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ‘বিজেপির বন্ডেড লেবার (ক্রীতদাস)’ বলেও আক্রমণ করেন তিনি। অভিযোগ করেন, রাজ্যের সরকারি অফিসার এবং পুলিশকে ভয় দেখাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকা থেকে কোনও নাম বাদ দিতে দেওয়া হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

মমতার অভিযোগ, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চালুর উদ্দেশ্যেই ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) কাজ শুরু করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি কোচবিহারের এক ব্যক্তিকে অসম সরকারের পাঠানো নোটিস প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কোচবিহারের রাজবংশী ভাষাভাষী তফসিলি জনজাতিভুক্ত মানুষকে আপনারা নোটিস পাঠাচ্ছেন অসম থেকে! এটা অপরাধ। এটা করতে পারেন না।’’ সেই সঙ্গে তাঁর আবেদন, ‘‘এনআরসি হবে না। এনআরসি মানি না। নোটিস পাঠালে কেউ যাবেন না। গেলেই জেলে পুরে দেবে।’’ মালদহের এক জনজাতি (আদিবাসী) মহিলাকে ছত্তীসগঢ় থেকে তুলে এনে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভোটার লিস্টের নামে বিজেপি পার্টির লিস্ট তৈরি করবে।’’ অসমে বিজেপি সাত লক্ষ বাঙালি হিন্দুর নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement