গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শুরু হয়ে গেল পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি। রাজ্যের সবক’টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৈঠকে করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ। নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও কথা হয়নি বলে বিরোধী শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে কোনও ভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি না করা যাবে না, এমনই দাবি জানানো হয়েছে বিরোধীদের তরফ থেকে।
তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম-সহ সব দলের প্রতিনিধিই হাজির হয়েছিলেন সর্বদল বৈঠকে। বৈঠক সেরে বেরিয়ে অবশ্য বিভিন্ন দল উদ্বেগের কথাই জানিয়েছে।
কতটা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে নির্বাচন, তা নিয়ে বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সংশয় প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞপ্তি জারির পরে প্রচারের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা। যথেষ্ট সময় না দিয়ে তড়িঘড়ি মনোনয়ন দাখিল পর্ব এবং ভোটগ্রহণ সেরে ফেলার চেষ্টা মানা হবে না বলে বামেদের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিসি-ভাইপোর স্বপ্ন, বিরোধী তির
বিজেপি-র তরফে বলা হয়েছে, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে। তার আগে প্রচারে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। তাই ১১ এপ্রিলের আগে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে না। কমিশন যদি ১১ এপ্রিলের আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে, তা হলে বিজেপি আইনি পদক্ষেপ করবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেশরীকে যেতে মানা, অশান্তি থামাতে কেন্দ্রের সাহায্যতেও না মমতার
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ সম্পর্কে এ দিনের বৈঠকে নির্দিষ্ট করে কিছু আলোচনা না হলেও মে মাসের ১৬ তারিখের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হতে পারে বলে খবর। এপ্রিলের শেষ দিকে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। তার পরে ভোটগ্রহণ হতে পারে তিন দফায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশকে দিয়েই ভোট করানো হবে। নবান্ন তেমনই চাইছে।
মুখ্যমন্ত্রী কয়েক দিন আগেই বোলপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে জানিয়েছিলেন, জুলাই বা অগস্টে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের পরে জোর জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক শিবিরে। রাজ্য সরকার মে মাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচন সেরে ফেলতে চায় এবং সেই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সরকার চিঠিও পাঠিয়েছিল বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল আগেই। মুখ্যমন্ত্রী তা হলে কেন জুলাই-অগস্টে নির্বাচনের কথা বললেন? সরকার কি নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে? এমন নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তবে নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠকে বসায় স্পষ্ট হয়ে গেল যে, নির্বাচন হয়ে যেতে পারে মে মাসের মধ্যেই।