ইকো পার্কের ধাঁচেই সাজবে এ বার লাটবাগান

নিউটাউনের ইকো পার্কের ধাঁচে ব্যারাকপুরে গঙ্গার ধারে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হবে নতুন একটি পার্ক। নিউটাউনে ইকো পার্কের নাম দেওয়া হয়েছে প্রকৃতিতীর্থ। ব্যারাকপুরে প্রস্তাবিত পার্কটির নামও ঠিক হয়ে গিয়েছে— উৎসধারা।

Advertisement

অত্রি মিত্র

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪০
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রকৃতিতীর্থের পরে এ বার উৎসধারা।

Advertisement

নিউটাউনের ইকো পার্কের ধাঁচে ব্যারাকপুরে গঙ্গার ধারে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হবে নতুন একটি পার্ক। নিউটাউনে ইকো পার্কের নাম দেওয়া হয়েছে প্রকৃতিতীর্থ। ব্যারাকপুরে প্রস্তাবিত পার্কটির নামও ঠিক হয়ে গিয়েছে— উৎসধারা।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতিতে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। পার্কটি তৈরির জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে-র নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র, পূর্ত, অর্থ-সহ বিভিন্ন দফতরের সচিবদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। কমিটির কয়েক জন সদস্য সোমবার ব্যারাকপুরে গিয়ে ওই এলাকাটি ঘুরে দেখেও এসেছেন। তাঁদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে কোথায়, কী হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে খবর, ব্যারাকপুরে গঙ্গার পা়ড় ধরে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার লাটবাগান এলাকা ধরেই মূলত নতুন ইকো পার্ক তৈরির কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। নবান্নের এক কর্তার কথায়, ‘‘ওই এলাকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। ওখানকার ধোবি ঘাটেই সিপাহী বিদ্রোহের অন্যতম নেতা মঙ্গল পাণ্ডের ফাঁসি হয়েছিল।’’ মঙ্গল পাণ্ডের স্মৃতি বিজড়িত ব্যারাকপুরকে স্মরণীয় করে রাখতে ওখানে ইতিমধ্যেই একটি মঙ্গল পাণ্ডে উদ্যান রয়েছে। তাকেও নয়া প্রকল্পের মধ্যে আনার ভাবনা রয়েছে সরকারের।

প্রাথমিক পরিকল্পনায় ঠিক হয়েছে, নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া টু-এর ধাঁচে ‘উৎসধারা’তেও কোনও বিল্ডিং সে ভাবে তৈরি করা হবে না। মূলত গাছপালা ঘেরা বাগান তৈরির উপরেই জোর দেওয়া হবে। সঙ্গে ‘ওয়াটার বডি’ সংরক্ষণও করা হবে। প্রায় ৪৮০ একর জমি নিয়ে নিউটাউনের ইকো পার্ক তৈরি হয়েছে। লাটবাগানেও কয়েকশো একর জমি রয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।

সেখানে ইকো পার্কের ধাঁচেই থাকবে নানা আকর্ষণ। থাকবে সিপাহী বিদ্রোহের ইতিহাসের বিভিন্ন উপস্থাপনাও। নবান্নের ওই কর্তা বলেন, ‘‘ইকো পার্কে সাফল্য মিলেছে। এখন ওটি কলকাতার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। একই ধাঁচে লাটবাগান এলাকাকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ভাবনা রয়েছে সরকারের। সে কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় পরিকল্পনা হচ্ছে।’’ ইকো পার্ক ছাড়াও একই ভাবে রাজ্য সরকার বহরমপুরেও থিম পার্ক তৈরি করেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে মতিঝিল পার্ক। ওখানে বাংলার ইতিহাস নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’। একই ভাবে ইকো পার্কে বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড রয়েছে। লাটবাগানেও প্রস্তাবিত নতুন পার্কে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড থাকবে। তবে তাতে ‘থিম’ কী হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন