জয়প্রকাশ মজুমদার ও মুকুল রায়।
রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য বিজেপি তাঁদের তিন প্রতিনিধির নাম পাঠিয়েছে।কিন্তু, সেই প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এমন নেতাদের সঙ্গে কী করে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ নেতারা আলোচনায় বসবেন! বিজেপির প্রস্তাবিত রথযাত্রা নিয়ে জটিলতা আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিয়ে সোমবার এমনটাই আদালতে জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।
বিজেপির করা রথযাত্রা মামলায় গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার একটি নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশে তিনি বিজেপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে বসার কথা বলেন।বৈঠকে রথযাত্রা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি আলোচনা করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কী ভাবে করা যায় তা স্থির করার নির্দেশ দেন।
বিজেপির দাবি, আদালতের ওই নির্দেশ পাওয়ার পরেই দলের তরফে মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তিন প্রতিনিধির নাম জানিয়ে বৈঠকের দিন স্থির করতে অনুরোধ করা হয়। রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, রাজ্য প্রশাসন এ বারও চিঠির কোনও উত্তর দেয়নি।
আরও পড়ুন: আমার শেষ লড়াইটা বাকি: তৃণমূলের মঞ্চ থেকে মোদীকে তীব্র আক্রমণ যশবন্তের
সোমবার এ বিষয়ে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। আদালতে তিনি জানান, বিজেপি যে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নাম পাঠিয়েছে সেখানে নাম রয়েছে মুকুল রায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জয়প্রকাশ মজুমদারের। এর মধ্যে মুকুল এবং জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কী করে মুখ্যসচিব বা স্বরাষ্ট্র সচিবের মতো শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারা বৈঠক করবেন? এই প্রশ্ন তোলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।
আরও পড়ুন: কুয়াশাতেও তীব্র গতি, প্রাণ গেল সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার-সহ দুই বন্ধুর
সোমবার বিচারপতি এ কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘‘দেশের কোন নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নেই! তা ছাড়া আপনাদের ডিজি, আইজি-দের বিরুদ্ধেও তো অনেক মামলা রয়েছে। এতে বৈঠকে বাধা কোথায়?’’ যদিও শেষ পর্যন্ত অ্যাডভোকেট জেনারেলের আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার তিনি শুনানির সময় নির্ধারিত করেছেন।