জমছে জিএসটি, কম তাই ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই দু’মাসে রাজ্য ৫৮৯ কোটি ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছে। অন্যদিকে গুজরাত ১১৩২ কোটি, বিহার ১০৫৪ কোটি, কর্নাটক ২০০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

তাড়াহুড়োয় জিএসটি চালুর ফলে ব্যবসায়ীদের হাহাকার নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কিন্তু বিধানসভায় বাজেটের জবাবি ভাষণে তাঁর পেশ করা পরিসংখ্যান বলছে, অন্য রাজ্যের তুলনায় এখানকার ব্যবসায়ীরা তুলনামূলকভাবে বেশি জিএসটি রিটার্ন ফাইল করেছেন। তার ফলে কর আদায় ভাল হওয়ায় রাজ্য জিএসটি-ক্ষতিপূরণ বাবদ কম টাকা পেয়েছে। গুজরাত, বিহার, কর্নাটকের মতো রাজ্যে আদায় আরও কম হওয়ায় তাদের কেন্দ্রের থেকে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে কোষাগার সচল রাখতে হচ্ছে।

Advertisement

যদিও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বিধানসভায় বলেন, ‘‘এ রাজ্যেও ছোট ব্যবসায়ীদের এখনও জেরবার হতে হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যে আগে থেকেই ই-পদ্ধতিতে কর প্রদান ব্যবস্থা চালু হওয়ায় মাঝারি বা বড় ব্যবসায়ীদের বিশেষ অসুবিধা হয়নি। ফলে চালু হওয়ার পর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে প্রাপ্য জিএসটি অন্য রাজ্যের চেয়ে কম মিলেছে।’’ অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই দু’মাসে রাজ্য ৫৮৯ কোটি ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছে। অন্যদিকে গুজরাত ১১৩২ কোটি, বিহার ১০৫৪ কোটি, কর্নাটক ২০০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।

অর্থমন্ত্রীর যুক্তি হল, তাড়াহুড়োয় জিএসটি চালুর ফলে সারা দেশেই আদায় কম হচ্ছে। যেখানে বছরে ৫৫ হাজার কোটি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে হলে কেন্দ্র হিসেব কষেছিল, সেখানে প্রথম ৬ মাসেই ৪০ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে রাজ্যগুলি। ফলে ক্ষতিপূরণের টাকা তোলায় এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অমিতবাবু।

Advertisement

কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী অবশ্য সভায় বলেন,‘‘রাজ্যের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ শিল্পে লগ্নি আনা। শিল্প সম্মেলনের নামে যা হচ্ছে তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই।’’ অবস্থা যদি এতই ভাল, সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ কেন সরকার মেটাচ্ছে না-সেই প্রশ্নও তুলেছেন মনোজবাবু।

যার জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব অনুযায়ী ৩৭৬৬ কোটি টাকার লিখিত প্রস্তাব জমা পড়েছিল। ওই সালে বাস্তবায়িত হয়েছে ২৫৩৬ কোটি টাকা লগ্নি। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘ এ রাজ্যে প্রস্তাবের ৬০%-র বেশি বাস্তবায়িত হয়েছে। গুজরাতে সেখানে হয়েছে মাত্র ১০%। যদিও কর্মচারীদের ডিএ-প্রসঙ্গে রা কাড়েননি অর্থমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement