প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে ২০টি ইংরেজি মাধ্যম সরকারি স্কুল তৈরির কথা গত বছর ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই স্কুলগুলিতে পড়তে বছরে মাত্র ২৪০ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছিল তাঁর দফতর। শনিবার পার্থবাবু বলেন, রাজ্য জুড়ে মোট ১০০টি এ রকম স্কুল তৈরি করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ‘‘পিছিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ কী ভাবে হবে, তা এখন দেখা হচ্ছে।’’ ১০০টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীর যুক্তি, এখন সবাই ইংরেজি মাধ্যমে সন্তানকে পড়াতে চান। হতদরিদ্র মানুষও বলেন, ‘‘ইংরেজি মাধ্যমে পড়াতে চাই।’’
ইংরেজি মাধ্যমের কারণে শহর কলকাতার পড়ুয়াদের সর্বভারতীয় বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে পড়ার প্রবণতার কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় কলকাতার পিছিয়ে পড়ার কথাও উল্লেখ করেন। মহানগরে এখন বেশির ভাগ স্কুলই সর্বভারতীয় বোর্ডের অধীনে। রাজ্যের বোর্ডে পড়ে খুবই কম পড়ুয়া। আইএএসের মতো সর্বভারতীয় পরীক্ষাতেও পিছিয়ে পড়েন এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা। শিক্ষামন্ত্রীর মতে, এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতেই তাঁদের উদ্যোগ।
বারবার অভিযোগ ওঠে, স্কুলে ইংরেজি পড়ানোর উপযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার বড়ই অভাব। সে ক্ষেত্রে এতগুলি সরকারি স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক মিলবে কী ভাবে? শিক্ষামন্ত্রী জানান, এই স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগে আলাদা ভাবে উদ্যোগী হচ্ছেন তাঁরা।
গত বছরের মে মাসে হাওড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা স্কুল পরিদর্শক জানান, বহু হাইস্কুলেই পড়ুয়া আসে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ার আগ্রহ বাড়ছে পড়ুয়াদের। সমস্যা সমাধানে ইংরেজি মাধ্যম সরকারি স্কুল গড়ার প্রস্তাব দেন তিনি। জুলাইয়ে ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমের ২০টি সরকারি স্কুল চালু করার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। কলকাতার সৌরীন্দ্র বিদ্যাপীঠকে দিয়ে শুরু হয় কাজ। সেই সংখ্যাই বাড়ল পাঁচ গুণ।