Ghatal Master Plan

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ কত দূর? হাই কোর্টে সময়ে রিপোর্ট দিতে পারল না রাজ্য, চাই আরও দু’সপ্তাহ

পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাই কোর্টে। ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চায় আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৭
Share:

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কলকাতা হাই কোর্টে সময় চাইল রাজ্য। —ফাইল ছবি।

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সময়ে রিপোর্ট জমা দিতে পারল না রাজ্য সরকার। আরও দু’সপ্তাহ সময় চাওয়া হল কলকাতা হাই কোর্টে। সময় দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আরও তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার শুনানি হবে। সে দিন রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাই কোর্টে। গত ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত শুনানিতে রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি তারা। রাজ্যের আইনজীবী জানান, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। কিছু দিন আগে রাজ্য বাজেটে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাই রিপোর্ট দিতে আরও দু’সপ্তাহ সময় প্রয়োজন।

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের দাবি দীর্ঘ দিনের। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাতও নতুন নয়। তার জেরে দীর্ঘ দিন প্রকল্পের কাজ আটকে ছিল। গত লোকসভা ভোটের আগে আরামবাগের এক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকার একাই বাস্তবায়িত করবে। ওই সময়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘাটালের ওই প্রকল্প শুরুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিছু দিন আগে রাজ্য বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।

Advertisement

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার পর আদালত জানতে চায়, কী ভাবে প্রকল্প রূপায়ণের কাজ চলছে। এত দিনে কাজ কতটা এগিয়েছে। এ ছাড়াও, ওই প্রকল্পের জন্য কত টাকা খরচ করা হবে এবং প্রকল্পের কাজ শেষ করতে কত দিন সময় লাগবে, জানতে চাওয়া হয়। রাজ্যের সেচ ও জলপথ পরিবহণ দফতরের সচিবকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল আদালত। বৃহস্পতিবার রাজ্য জানাল, রিপোর্ট তৈরি করতে আরও সময় লাগবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement