কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষক থাকলে পূর্ণ সময়ের শিক্ষক নেওয়া যাবে না, এই নিয়মের পরিবর্তন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিধানসভায় উচ্চশিক্ষার বাজেট সংক্রান্ত বিতর্কের জবাবি ভাষণে এই তথ্য জানান।
ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক শিক্ষা বাজেটে অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন, বীরভূমের রাজনগর কলেজে এক জনও পূর্ণ সময়ের শিক্ষক নেই। রয়েছেন এক জন মাত্র অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। পার্থবাবু বলেন, ‘‘বীরভূমের রাজনগর কলেজে পাঁচ জন আংশিক সময়ের শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষক থাকলে পূর্ণ সময়ের শিক্ষক দেওয়া যাবে না, এই নিয়ম বদলেছি। যেখানে প্রয়োজন স্থায়ী শিক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
এসইউসি বিধায়ক তরুণ নস্কর বিধানসভায় বলেন, ‘‘সরকার নতুন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় করেছে। আশা করি, নির্বাচনী ইস্তাহারে লেখার জন্য ওগুলো করেনি। নিশ্চয়ই পরিকাঠামো দেবে। বিগত সরকার এবং বর্তমান সরকার পরিকাঠামো না দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি-র স্বীকৃতি পেতে আট বছর লেগেছে।’’ তরুণবাবু আরও জানান, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাই শিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিকে জানিয়েছেন, যে টাকা সরকার ধার্য করেছে, তাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বাড়ানো সম্ভব নয়। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে ৩০ হাজার শিক্ষক পদ লাগে। দেওয়া হয়েছে, ছ’ হাজার। বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যও অভিযোগ করেন, ১০০ জন অধ্যক্ষের পদ খালি।
পার্থবাবু ভাষণে জানান, কলেজ সার্ভিস কমিশন দ্রুত শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। ৪২টি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। ২৫ জন এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রাজ্য ৩৩ কোটি ও ২২ কোটি টাকা দিয়েছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করে শমীকবাবু বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্সির মেন্টর গ্রুপ কোথায়? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক দর্শনের বিভাগীয় প্রধান হয়েছেন। ইতিহাসের অধ্যাপিকা পদত্যাগ করে বলেছেন, পরিকাঠামো নেই।’’ মুকুল রায় এবং শঙ্কুদেব পণ্ডার নাম না করে শমীকবাবু বলেন, ‘‘এক জন চাণক্য ছিলেন। তাঁর চন্দ্রগুপ্ত ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াতেন। সেই চাণক্য আছে কি নেই, কেউ জানে না। এই সদনের কয়েক জন সদস্যের সঙ্গে তাঁকে ধর্মীয় সভায় দেখা যাচ্ছে।’’