আলুর ভবিষ্যৎ ঠিক করতে বল রাজ্যের কোর্টে

কিন্তু ভিন রাজ্যে চাহিদা কম থাকায় আলু রফতানিতে এ বার গতি ছিল না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকার হিমঘরে আলু রাখার মেয়াদ বাড়ায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:৪১
Share:

ফাইল চিত্র

হিমঘরে আলু রাখার সময় পেরিয়ে গিয়েছে অনেকদিন। কিন্তু তারপরও চাষিরা, হিমঘরগুলি থেকে জমে থাকা আলু নিয়ে যাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যের হিমঘর মালিকদের একাংশ।

Advertisement

নিয়ম মাফিক রাজ্যে হিমঘরে আলু রাখার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ নভেম্বর। কিন্তু ভিন রাজ্যে চাহিদা কম থাকায় আলু রফতানিতে এ বার গতি ছিল না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকার হিমঘরে আলু রাখার মেয়াদ বাড়ায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাতে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়। কিন্তু ওই সময় পেরনোর পর দেখা যায়, সমস্যা মেটেনি।

এরপর হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয় রাজ্য সরকারের কাছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে আলু ব্যবসায়ী সমিতি, হিমঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুগ্ম বৈঠক হয়। জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত হিমঘরে আলু রাখার মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দেন কৃষি বিপণন দফতরের বিভাগীয় মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। সঙ্গে এও জানানো হয়, এই সময়ের মধ্যে সমস্যা না মিটলে হিমঘর থেকে আলু বের করে শেডেও রাখা যাবে। এ বিষয়ে যুক্তি ছিল, এখনও যেহেতু ঠান্ডা আছে, তাই আলুর কোনও ক্ষতি হবে না। প্রয়োজনে আলু নিলামে বিক্রিরও সরকারি তরফে অনুমতি দেওয়া হয় হিমঘর মালিকদের।

Advertisement

কিন্তু বিধি বাম। রাজ্যের হিমঘর মালিকদের সংগঠনের কর্তাদের দাবি, এখনও রাজ্যের অন্তত ৫০টি হিমঘরে ৬০ লক্ষ প্যাকেটের (৫০ কেজি) বেশি আলু জমে রয়েছে। এক একটি হিমঘরে জমে থাকা আলুর পরিমাণ ৫০ হাজার প্যাকেটের কম নয়। রাজ্যের হিমঘর মালিক সংগঠনের সভাপতি পতিতপাবন দে-এর কথায়, ‘‘রাজ্যের অন্তত ৫০টি হিমঘরে জমে থাকা আলুর যা পরিমাণ, সেটা বাইরের শেডে রাখা সম্ভব নয়। আলুর কল বেরিয়ে যাবে। এখনও যে হিমঘরের মেশিন চালু রাখতে হচ্ছে সেই টাকাও তো হিমঘর মালিকরা পাবেন না!’’

তবে এত সহজে হাল ছাড়ছেন না হিমঘর মালিকরা। বরং তাঁরা এ বার বল ঠেলছেন রাজ্য সরকারের দিকেই। এক হিমঘর মালিকের কথায়, ‘‘নিলামে আলু বিক্রি করলেই বা কিনবে কে? একমাত্র রাজ্য সরকারই মিড-ডে মিলের জন্য আলু কিনলে পরিস্থিতি বদলাতে পারে।’’ রাজ্য সরকার এ বিষয়ে কী ভাবছে? কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তর জবাব, ‘‘আলুচাষি ও হিমঘর মালিকদের কথা ভেবেই নানা নিয়ম নমনীয় করা হয়েছিল। এরপর ফের বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন