প্রায় এক হাজার প্রাথমিক স্কুলকে দোলনা ‘উপহার’

ভোটের মুখে রাজ্যের হাজার খানেক প্রাথমিক স্কুলকে দোলনা ‘উপহার’ দিচ্ছে রাজ্য। স্কুলশিক্ষা দফতরের খবর, এ বিষয়ে নভেম্বর মাসেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সম্প্রতি এ বিষয়ে টাকা বন্টন শুরু হয়।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভোটের মুখে রাজ্যের হাজার খানেক প্রাথমিক স্কুলকে দোলনা ‘উপহার’ দিচ্ছে রাজ্য। স্কুলশিক্ষা দফতরের খবর, এ বিষয়ে নভেম্বর মাসেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সম্প্রতি এ বিষয়ে টাকা বন্টন শুরু হয়। সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা।

Advertisement

শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। শিক্ষার অধিকার আইন (২০০৯) অনুযায়ী, প্রতিটি স্কুলে খেলার মাঠ থাকতে হবে। একটি প্রাথমিক স্কুলে যে-সব ব্যবস্থা থাকার কথা, রাজ্যের বহু স্কুলে তার খামতি রয়েছে বলে একাধিক রিপোর্টে প্রকাশ হয়েছে। রাজ্য সর্বশিক্ষা মিশনের সর্বশেষ রিপোর্ট (২০১৬-’১৭) অনুযায়ী, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে খেলার মাঠ নেই প্রায় ৬৩% স্কুলে। স্কুলের সীমা পাঁচিল নেই প্রায় ৬২% স্কুলে। পড়ুয়ার সংখ্যাও কমছে। কোন বিচারে ওই এক হাজার স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

এ ব্যাপারে স্কুলশিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের বক্তব্য, যে সব প্রাথমিক স্কুলে তুলনামূলক পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি এবং মাঠ ও তার চারদিকে সীমানা বসানো পাঁচিল রয়েছে, তাদেরই দোলনা দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

বামপন্থী নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক সমর চক্রবর্তীর দাবি, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই সরব। তিনি বলেন, ‘‘আগে সব স্কুলের পরিকাঠামোর উন্নয়ন হোক। বেছে বেছে এ ভাবে দোলনা দেওয়া তো ভোটের আগে চমক ছাড়া কিছু নয়।’’ অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কার্তিক সাহা বলেন, ‘‘অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুলেরই শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী, পরিকাঠামো নেই। পডুয়ার সংখ্যা দিনে দিনে কমছে। সে দিকে নজর না দিয়ে কিছু স্কুলকে দোলনা দেওয়া কোনও কাজের কাজ নয়।’’ বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল আবার প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘শুধু প্রাথমিক কেন? উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলোকে দোলনা দেওয়া হল না কেন?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন