— ফাইল চিত্র।
ঠিক হয়েছিল, ছোট বিমান ভাড়া নেওয়া হবে। কিন্তু খরচের কথা ভেবেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। তাদের হাতে এখন একটি হেলিকপ্টার রয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একটি হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধানত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের কথা ভেবেই প্রথমে ঠিক হয়, সাত থেকে ন’জন যাত্রী ধরে— দুই ইঞ্জিনের এমনই প্রপেলার বিমান দীর্ঘ মেয়াদে ভাড়া নেওয়া হবে। গত ২৯ জুন বিমান ভাড়া নেওয়ার জন্য দরপত্র চায় রাজ্য। ১৯ জুলাই দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনের মধ্যে বেশ কিছু দরপত্র জমাও পড়ে। কিন্তু পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, ভাড়ার অঙ্ক দেখে পিছিয়ে এসেছে রাজ্য।
এখন দুই ইঞ্জিন ও পাঁচ আসনের যে-হেলিকপ্টার রয়েছে, সেটি মহারাষ্ট্রের সংস্থা ‘গ্লোবাল ভেক্ট্রা’ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ফের দুই ইঞ্জিনের হেলিকপ্টার ভাড়ায় নেওয়ার জন্য দরপত্র চেয়েছে রাজ্য।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের হাতে থাকা হেলিকপ্টারটি এখন যাত্রী নিয়ে দিঘা, গঙ্গাসাগর, বালুরঘাট, মালদহে যাতায়াত করছে। দ্বিতীয় হেলিকপ্টার এলে সেটি নতুন রুটে ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ দফতরের এক কর্তা। তাঁর কথায়, ‘‘হেলিকপ্টারে যাতাযাতের জন্য প্রচুর চাহিদা রয়েছে। একটি হেলিকপ্টারে সেই চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।’’
তবে মূলত আসন্ন লোকসভা ভোটে দ্বিতীয় কপ্টারটি ব্যবহার করা হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সরকারের কাছ থেকে শাসক দল কপ্টার ভাড়া নিতে পারে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে তাদের তারকা প্রচারকদের বিমান ও কপ্টার সফর বাবদ ১৫ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল বলে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল তৃণমূল।