Containment Zone

লকডাউনে সুনসান শহর, রাতভর শিলিগুড়ির রাস্তায় টহল দিল হাতির দল

বন আধিকারিকদের ধারণা, লকডাউনের ফলে শহরের রাস্তায় গাড়ি না থাকায় ঢুকে গিয়েছে হাতিগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ১৭:৪৭
Share:

শিলিগুড়ির রাস্তায় ঘণ্টা চারেক দাপিয়ে বেড়াল হাতির দল। —নিজস্ব চিত্র।

লকডাউন চলছে। সুনসান রাস্তা। আর সেই সুযোগে রাতভর শিলিগুড়ির আনাচেকানাচে দাপিয়ে বেড়াল এক দাঁতাল-সহ তিনটি হাতির এক দল।

Advertisement

১৬ জুলাই থেকে টানা লকডাউন চলছে শিলিগুড়িতে। গভীর রাতে বাড়ির সামনের রাস্তায় ধুপধাপ আওয়াজ শুনে মুখ বাড়িয়েছিলেন কমল দাস। শিলিগুড়ি শহরের বিবেকানন্দপল্লিতে তাঁর বাড়ি। দোতলার ব্যালকনি থেকে নীচে রাস্তার দিকে তাকিয়ে তাঁর আক্কেলগুড়ুম। নীচের রাস্তায় খেলে বেড়াচ্ছে তিনটি হাতি। তার মধ্যে একটি বাচ্চা, একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল, অন্যটি মাঝারি আকারের। কনটেনমেন্ট জোনের জন্য পুলিশের লাগানো বাঁশ ভেঙে রীতিমতো খেলছে তারা।

আতঙ্কিত হয়ে বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু তত ক্ষণে হাতির দল সেই পাড়া ছাড়িয়ে অন্য পাড়ায়। কনটেনমেন্ট জোনের বাঁশ ভেঙে দেওয়ালে পিঠ চুলকাতে দিয়ে দেওয়াল ভেঙে রীতিমতো তোলপাড় করছে ওই তিন হাতি। পুলিশ খবর দেয় বন দফতরের আধিকারিকদের। সারুগাড়া এবং ডাবগ্রাম রেঞ্জের আধিকারিকরা আসেন তিনটি হাতিকে জঙ্গলে পাঠাতে। ঘণ্টা চারেক পরে ভোরবেলায় হেলতে দুলতে জঙ্গলের দিকে চলে যায় হাতির দল।

Advertisement

আরও পড়ুন: স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রীকে দায়ী করে মারধর, চুল কেটে দিলেন প্রতিবেশীরা

আরও পড়ুন: ডেন্টাল কলেজের হস্টেলে মহিলা চিকিৎসকের গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আশিঘর হয়ে সংহতি মোড় পেরিয়ে শহরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে তিনটি হাতি। বন আধিকারিকদের ধারণা, লকডাউনের ফলে শহরের রাস্তায় গাড়ি না থাকায় ঢুকে গিয়েছে হাতিগুলি।

এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি দাঁতাল একাই ঢুকে পড়েছিল শিলিগুড়ি শহরে। দিনভর তাণ্ডব চালিয়েছিল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। শহরের কেন্দ্রস্থল ভেনাস মোড়, এয়ারভিউ মোড়েও তাণ্ডব চালায় সেই দাঁতালটি। শেষে বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি করে হাতিটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। তবে ওই তিনটি হাতি তাণ্ডব চালায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন