Coronavirus in West Bengal

চিন্তা ভিড় নিয়েই, ৪৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি রেলের

কম সংখ্যায় ট্রেন চালানো হলে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত রেলকর্তারা। তাই বেশি সংখ্যায় ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০ ১৯:২৮
Share:

শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব রেলের বিভিন্ন স্টেশনে এবং ট্রেনে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

ভিড় সামলাতে বেশি সংখ্যায় লোকাল ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে রেল। হাওড়া, শিয়ালদহ এবং খড়্গপুর ডিভিশন মিলিয়ে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ ট্রেন চালানো হতে পারে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করবেন রেল কর্তারা।

Advertisement

আগামী বুধবার থেকে চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন। কোন রুটে, কত ট্রেন চালানো হবে, তারই এখন রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব রেলের বিভিন্ন স্টেশনে এবং ট্রেনে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রেল-রাজ্য বৈঠকে মোট ১৮১ জোড়া লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও গুরুত্ব পায় আলোচনায়। কম সংখ্যায় ট্রেন চালানো হলে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত রেলকর্তারা। তাই বেশি সংখ্যায় ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন মিলিয়ে মোট ৬০০টি ট্রেন চালানো হতে পারে। উল্লেখ্য, লকডাউনের আগে এই দুই ডিভিশনে ১৫০০ লোকাল চলত। মোট যাত্রীর সংখ্যা ছিল দৈনিক প্রায় ৩৫ লক্ষ। ট্রেন চালু হলে লোকালে অর্ধেক যাত্রী নেওয়া হবে।

Advertisement

রেলের ‘স্টাফ স্পেশ্যাল’ ট্রেনে ওঠা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল যাত্রীদের মধ্যে। প্রতি দিনই কোনও না কোনও স্টেশনে গোলমাল বাধছিল। এই পরিস্থিতে রেল এবং রাজ্য দু’পক্ষই লোকাল পরিষেবা চালাতে সহমত হয়। তবে এ ক্ষেত্রে কী ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে, সে বিষয়ে আগামী সোমবারের মধ্যে চূড়ান্ত হবে আদর্শ আচরণবিধি।

আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ট্রেন বাড়াচ্ছে মেট্রোও, অফিস টাইমে ৭ মিনিট অন্তর চলবে

আরও পড়ুন: অমিতের মুখে ‘তোষণ-অভিযোগ’ দক্ষিণেশ্বরে, সৌগত শেখালেন ‘যত মত তত পথ’

মোট স্টেশন সংখ্যার নিরিখে রেলরক্ষী বাহিনী (আরপিএফ) কম থাকায় রাজ্য পুলিশ (জিআরপি)-কে সহযোগিতা করতে হবে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, স্টেশনের মূল প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রাখা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতা এবং সমন্বয় করবে রাজ্য পুলিশ। বিনা মাস্কে ট্রেনে যাতে কেউ না ওঠেন, সে দিকে নজরদারি থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন