Arrest

হাবড়ায় জোড়া খুনে ধৃত মূল অভিযুক্ত

প্রাণ গিয়েছিল হাবড়ার কংগ্রেস নেতা বাপি চৌধুরীর। মারা যান তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী রণজিৎ রায়ও। ন’বছর আগে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজু দামকে সোমবার ঝাড়খণ্ড সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাবড়া শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ০৪:০১
Share:

রক্তদান শিবিরে দুষ্কৃতী হামলায়

Advertisement

প্রাণ গিয়েছিল হাবড়ার কংগ্রেস নেতা বাপি চৌধুরীর। মারা যান তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী রণজিৎ রায়ও। ন’বছর আগে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজু দামকে সোমবার ঝাড়খণ্ড সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে অভিযান চালায় হাবড়ার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের পরে ঝাড়খণ্ডে পালিয়েছিল সে। শুরুর দিকে জায়গা বদলে থাকলেও বহু দিন হল ডেরা গেড়েছিল সেখানেই। এলাকা দখল, সাট্টা-জুয়ার কারবারের উপরে নিয়ন্ত্রণ— এ সব নিয়েই বিবাদের জেরে ‘সুপারি কিলার’ লাগিয়ে খুন করা হয়েছিল বাপিকে, দাবি পুলিশের। ২০০৯-এর ২০ ডিসেম্বর প্রফুল্লনগরে রক্তদান শিবিরে নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বাপিই ছিলেন ‘টার্গেট’। কংগ্রেস নেতাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান রণজিৎ। বোমায় মৃত্যু হয় তাঁরও। পুলিশ জানায়, তখন তোলাবাজিতে হাত পাকিয়েছিল রাজু। অভিযোগ, তৎকালীন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের পাশেও দেখা যেত তাকে। বিরোধীদের অভিযোগ, মুকুলের আশ্রয়েই সে খুনের পরে গা ঢাকা দিয়েছিল।

Advertisement

মুকুল এখন বিজেপিতে। কিন্তু পুরনো বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। বাপির স্ত্রী কাকলি বলেন, ‘‘এত দিন মুকুল রায়ের ছত্রচ্ছায়াতে ছিল বলেই রাজুকে ধরা যায়নি।’’ পুলিশ কর্তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি। তবে সোমবার হাবড়ায় দলীয় সভায় রাজুকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মুকুল বলেন, ‘‘এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজু যদি আমার আওতায় থাকত, তা তাকে গ্রেফতার করতে না পারার ব্যর্থতা মুখ্যমন্ত্রীরই।’’ রাজু কি আপনার ঘনিষ্ঠ? মুকুলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘রাজনীতিতে কেউ কারও ঘনিষ্ঠ বলে কিছু নেই। তবে একটা কথা বলতে পারি, অন্যায়কে সমর্থন করি না।’’

রাজুকে মঙ্গলবার বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক এক দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় এখনও ধরা পড়ল ১৪ জন। ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন পরে হাইকোর্টে জামিন পান। বাকি ৯ জন বেকসুর খালাস পান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন