তৃণমূলের সভায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে গোসাবার পুঁইজালি এলাকা এ নিয়ে তেতে ওঠে। জখম হন ১০ জন তৃণমূল কর্মী। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে পুলিশের কেউ হতাহত হননি। হামলায় জড়িত অভিযোগে ওই রাতেই পুলিশ বিজেপি নেতা সুকুমার বর-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে একটি পাইপগান ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। হামলার অভিযোগ বিজেপি অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে পুঁইজালির কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। তার পর থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল। এ দিন তৃণমূল যখন নির্বাচনী ‘বুথ মিটিং’ করছিল তখন বিজেপি হামলা চালায় এবং বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। জখমদের মধ্যে রয়েছেন আমতলি পঞ্চায়েতের বিদায়ী তৃণমূল প্রধান বিশ্বজিৎ সর্দার, উপপ্রধান ছবিরানি মণ্ডলও। সকলকে প্রথমে ছোট মোল্লাখালি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে চার জনকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।
গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের অভিযোগ, ‘‘বিজেপি এলাকা দখল করতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। ওদের দলে কিছু বাম কর্মী যোগ দেওয়ার পর থেকেই গোলমাল বেড়েছে।’’ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতিশ্রুতি দেবনাথ অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা দাবি করেন, ‘‘কিছু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে আসায় ওদের রাগ ছিল। তৃণমূলই পরিকল্পিত ভাবে আমাদের নেতা সুকুমার বরের বাড়িতে হামলা করতে যায়। তখন সাধারণ মানুষই ওদের বাধা দেন।’’