পঞ্চায়েতের ২০টা জেলা পরিষদের সবকটাই জিততে হবে, বলেছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, ১০০% জিততে হবে। সব জেলা পরিষদ জিতে তৃণমূল সেই কথা রেখেছে। এ বার লক্ষ্য লোকসভা। সেখানেও ৪২-এর মধ্যে ৪২টাই চাই—জানিয়ে দিলেন অভিষেক।
একই সঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘দেখাও কার কত ক্ষমতা আছে। ক্ষমতা থাকলে লড়াই করে দেখাও।’’ তিনি দাবি করেন, ‘‘আগামী দিনে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপির জীবাশ্ম দেখা যাবে। অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজতে হবে।’’
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূলের মিছিলের শেষে সভায় অভিষেক বলেন, ‘‘২০টা জেলা পরিষদের ২০টাই পাব বলেছিলাম। পেয়েছি। এ বার আজ থেকেই শপথ নিতে হবে লোকসভায় ৪২টার মধ্যে ৪২টাই আমরা পাব।’’
পঞ্চায়েতে মনোনয়ন পর্ব থেকেই বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ বারবার উঠেছে। লোকসভাতেও তারই পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা। তবে পাল্টা চ্যালেঞ্জও ছুড়েছে সব দল। পঞ্চায়েতে তৃণমূলের অনেক পিছনে থেকে দ্বিতীয় হওয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের মতো লোকসভাতেও পুলিশ আর গুন্ডা দিয়ে ভোট করবে, এটা তৃণমূল ভেবে থাকলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। লোকসভা ভোট তো আগামী বছর। এ বছরই তৃণমূল টের পাবে যে লোকসভা ভোটে হম্বিতম্বি করার মতো জোর ওদের আর থাকছে না।’’
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে যে ভাবে তৃণমূল ভোট করেছে, তা তো গণতন্ত্রের শ্রাদ্ধ! ওদের হিম্মত থাকলে গণতন্ত্র মেনে একটা ভোট করে দেখাক। মানুষ যে পঞ্চায়েতের প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, সেটা ভুলে যেন না যায়।’’ লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে যে তৃণমূল গা-জোয়ারি করে ভোট করাতে পারবে না, সেই বিশ্বাসেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তখন বোঝা যাবে, কে কোথায় দাঁড়িয়ে।’’